অবতক খবর,২৫ নভেম্বরঃ শুক্রবার দুপুরে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে উপস্থিত হলেন তেহট্ট তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্র । তাকে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। এই খুনের ঘটনার পিছনে যারা জড়িত তাদের কে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করেছেন মৃতের স্ত্রী। সিআইডি তদন্তের দাবি করেছেন তারা।

সাংসদ মহুয়া মৈত্র জানান, প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম ভালো সংগঠক ছিল। বোমা ও গুলি করে খুন করা হয়েছে। তার সিকিউরিটি সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ব্যাক্তিগত ক্রিমিনাল এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এই ভাবে খুন হয়েছেন আমরা চাইব পুলিশ দ্রুত সমস্যার সমাধান করবে। তবে প্রধান চান এটা তাড়াতাড়ি সমাধান হবে। পুলিশ তাড়াতাড়ি তদন্ত করে সমাধান হবে। তবে দেহ রক্ষি প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র বলেন, দেহরক্ষী হয়তো চলে গেছেন। বোমার আক্রমনের পরেই হয়তো চলে গেছে। পুলিশ তদন্ত করুক, এটা খুব দুঃখ জনক ঘটনা। যারা করেছে তারা ভারাটে খুনী।

 

টিনা ভৌমিক হাবিব তৃণমূলের উচ্চ পদস্থ নেতা। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘটনা না, এটা করবেন না। পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশের ওপর আস্হা আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের নেতার মৃত্যু খুব দুঃঘ জনক ঘটনা।

বিধায়ক জানান, আগে বুথ সভাপতির পায়ে গুলি লাগে। কর্মীদের চোখে একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে। কাওরির মদতে গভীর ভাবে এই ঘটনা ঘটেছে। থানার পাড়া থানা ঘটনা জানে। আমরা সিআইডি তদন্তের দাবি করছি। এই খুনের ঘটনা সিআইডি দায়ভার নিলে সমস্যার সমাধান হবে। খুনীরা সকলেই পূর্ব পরিচিত। ছেলে কে দেখতে আসার ঘটনা জেনেই আগে থেকেই উপস্থিত থেকে এই খুন করে। যারা খুন করেছে তারা বিজেপি করে, বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে তারা বিজেপি কর্মী ছিল এই টিনা সাহা। তারাই এই খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিধায়ক।

অন্যদিকে শুক্রবার দুপুরে দেহ ময়না তদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের সদস্যদের হাতে। শেষ শ্রদ্ধা জানান বিধায়ক ও সাংসদ সহ তৃণমূল কর্মীরা।