অবতক খবর,৫ আগস্টঃ তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা মালতিপুর বিধানসভার বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সির কেন্দ্রের রাস্তার হাল বেহাল। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও হয় নি পাকা রাস্তা। বছরের পর বছর ধরে এক হাঁটু পর্যন্ত কাদা ঠেলে যাতায়াত করতে হয় মালদহের মালতীপুর বিধানসভার গোপাল পুর গ্রামের বাসিন্দাদের। বর্ষাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় এই এলাকার বাসিন্দাদের।তাই পাকা রাস্তার দাবিতে কর্দমাক্ত রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে বিক্ষোভে সামিল হলেন গ্রামবাসীরা।

দ্রুত রাস্তা পাকা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুশিয়ার গ্রামবাসীদের।

মালদার চাচল ২ নং ব্লকের গোপালপুর ঘোষপাড়া গ্রামের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা ১৫ থেকে ২০টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মূল মাধ্যম। দশকের পর দশক ধরে সেই রাস্তার হাল চরম বেহাল। মাঝ বর্ষায় রাস্তার রূপ নেয় ভয়ানক। জল কাদা ভেঙে যাতায়াত করেন আট থেকে আশি সকলেই। কর্দমক্ত রাস্তার পাশে রয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র,বিদ্যালয় ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র। কর্দমত্ত রাস্তা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় বিদ্যালযের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অঙ্গনারী কেন্দ্রের মা ও শিশুদের। বেহাল রাস্তার বিষয় নিয়ে একাধিবার স্থানীয় প্রশাসন ও পঞ্চায়েতকে বিষয়টি জানালেও রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ হয় নি।তাই শনিবার পাকা রাস্তার দাবিতে কর্দমত্ত রাস্তায় ধানের চারা পুঁতে বিক্ষবে শামিল হলেন গ্রামবাসীরা। চাচল ২ নং ব্লকের ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক(বিডিও) দিব্যজ্যোতি দাস সরজমিনে বিষয়টি দেখা হয়েছে। যেহেতু পঞ্চায়েত ভোটের পর এখনও বোর্ড গঠন হয় নি। তাই পরিকল্পনা করা হয় নি। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর এই পুনরায় সরজমিনে দেখে রাস্তাটি সংস্কারের প্রস্তাব সংলিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। মালতিপুর বিধানসভার বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি জানান দীর্ঘদিনের এই সমস্যা। তার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।