অবতক খবর,১৩ আগস্টঃ তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রধান হয়ে আবার তৃণমূলে ফিরলেন খানাকুলের অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য নির্বাচিত প্রধান।

গত দশ তারিখ বোর্ড গঠন হয় হুগলির খানাকুল এক নং ব্লকের অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে।বোর্ড গঠনের দিনে পড়তে পড়তে নাটকীয় ছবি ধরা পড়ে।এই পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা

২৩ টি যার মধ্যে তৃণমূল জয় লাভ করে ১৪ টি আসনে এবং বিজেপি জয়লাভ করে ৯ টি আসনে।

স্বাভাবিক ভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে তৃণমূল। হিসাব অনুযায়ী বোর্ড গঠনও শাসক দল তৃণমূলের করার কথা, কিন্তু বোর্ড গঠনের দিন দেখা যায় তিন জন জয়ী তৃণমূল সদস্য আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপির জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের হাত ধরে বিজেপি তে যোগদান করেন এবং বিজেপির সদস্য হয়ে বোর্ড গঠনে অংশ গ্রহন করেন।

উল্টে যায় হিসাব, বিজেপির আসন সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ১২ টি এবং তৃণমূল ১১ টি।সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে বিজেপি।

প্রধান হিসাবে নির্বাচন করা হয় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দেবাশীষ সিং কে এবং উপ প্রধান হন বিজেপির টিকিট থেকে জয়ী প্রার্থী তনুশ্রী রায় দুলুই।

বোর্ড গঠনের দুদিন পার হতে না হতেই আবার নিজের দল অর্থাৎ তৃণমূলে ফিরে আসেন দুই সদস্য, সদ্য নির্বাচিত প্রধান দেবাশীষ সিং এবং অসীমা কারক।

আজ সন্ধ্যায় জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায় তারকেশ্বরে নিজের অফিসে দলীয় পতাকা তুলে দেন তাদের হাতে।

হিসাব আবার বদলে যায় দুই জয়ী সদস্য দলে ফিরে আসার তৃণমূলের আসন সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ১২ সেখানে বিজেপির আসন সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ টি।যদিও আইনত বিজেপির নির্বাচন করা প্রধান কেই মান্যতা দেয় তৃণমূল এবং পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী উপ প্রধান ও নির্বাচন করবে তৃণমূল সাংবাদিক বৈঠক করে জানান তৃণমূলের আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামেন্দু সিংরায়।

তৃণমূল জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়ের অভিযোগ বোর্ড গঠনের একদিন আগে থেকেই তাদের জয়ী তিন সদস্যকে অপহরণ করে বিজেপি এবং বোর্ড গঠনের দিন তাদের বিজেপি তে জোর করে যোগদান করায়।

বিজেপির হাত থেকে ছাড়া পেয়েই আবার দুই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করে আজ। ফলে ওই পঞ্চায়েতের বোর্ড তাদের দখলে গেল বলেই দাবি করেন রামেন্দু সিংরায়।

অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বিমান ঘোষের দাবি যারা তৃণমূলে যোগদান করছে বলে দাবি করছে সাশক দল তাদের বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছে, এতে কিছু লাভ হবে না বরং এর বিরুদ্ধে করা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পঞ্চায়েত আইন জানেনা তৃণমূল।বোর্ড বিজেপির দখলেই থাকবে।

পাল্টা তৃণমুল জেলা সভাপতি রামেন্দু সিংরায়ের দাবি ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে বরং বিজেপি এদের ভয় এবং প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করেছিল।

অন্যদিকে দেবাশীষ সিং যিনি দুদিন আগে বিজেপিতে যোগদান করে প্রধান হয়েছিলেন আবার তৃণমূলে যোগদান করে বলেন বিজেপি আমাদের ভয় দেখিয়ে তাদের দলে যোগদান করিয়েছিল এখন ভুল বুঝতে পেরেছি তাই এবার নিজের পুরানো দলেই ফিরে এলাম।