অবতক খবর,২ ডিসেম্বর,ডায়মন্ড হারবার: বাংলা এবার দুর্যোগের ভ্রুকুটি বাংলার নতুন আতঙ্কের নাম ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। সৌদি আরবের দেওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের অর্থ উদার বা মহান। থাইল্যান্ড থেকে আসা নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে বঙ্গোপসাগরে। আবহাওয়া দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘জাওয়াদ’। তার প্রভাবে ভাসতে পারে বাংলা। সপ্তাহান্তে কলকাতা-সহ উপকূলের জেলাগুলিতে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। বুধবার সকালে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের হালকা শীতের আমেজ।

১৮ ডিগ্রির নিচে পারদ। বৃহস্পতিবার থেকে ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমশ দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঢুকবে। বৃহস্পতিবার এটি শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ রূপে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। শক্তি সঞ্চয় করে সেখানেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই গভীর নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর এর অভিমুখ হবে উত্তর-পশ্চিম দিকে। শুক্রবার থেকেই ধীরে ধীরে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে।

আকাশ মুখ ঢাকতে পারে কালো মেঘে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। তার প্রভাবে বাংলায় বাড়বে বৃষ্টি। শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

রবিবার কলকাতা-সহ হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। ঝোড়ো হাওয়া ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জেরে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে জেলা মৎস্য দপ্তর এর পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্কীকরণ করছে মৎস্য দপ্তর। পাশাপাশি উপকূল তীরবর্তী এলাকার মানুষজন কে সতর্কীক করা হচ্ছে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে।