মানব জীবনের কথাকার হালিশহরের ভূমিপুত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আজ ৭৩তম জন্মদিন।
আত্মশ্লাঘা তো আছেই, সে ছিল আমার সতীর্থ,অত্যন্ত অন্তরঙ্গ। সে চলে গেছে আমি অশৌচ নিয়ে বসে আছি…

তুই আছিস কোথায়
তমাল সাহা

ওরে তুই কতদূরে যাস
মন পবনের নাও কোন জলে ভাসাস!
হাওয়া তো চলে খুব খুব জোরে
ফুল কুড়োতে উঠবি নাকি ভোরে?

ওলো সই সারারাত তো নাচলি গাইলি পয়সা পেলি কই?
রসিক তো ভালই ছিলি রসিকা কি পেলি?
তবে বীরাসনে বসলি কেন, কোন দীক্ষা নিলি!
মধুকর-এ কোন বাণিজ্যতরী! কারা বানায় এসব জলযান?
পৌর্ণমাসী কলমে তোর সেসব অনেক কথা
পুরাতনী উপাখ্যান।

সন্ত্রাস তুই দেখেছিলি লিখেছিলি নিখিলের অন্ধকার পাখি
মনে পড়ে চরমপত্র সেই দশক সত্তরে!
বলেছিলি যেকথা এখন কেউ কি জানে?
সেই যে জরুরি অবস্থা, আক্ষেপ করেছিলি
সুব্রত নামটি রেখেছিল কোন শত্তুরে?

তোর আমার সতীমার মেলা দেখা, দেখা সাপের মেলা সব মনে পড়ে।
তোর ভেতরে সব সময় কী যে বাদ্য বাজায় বাদ্যকরে!

রসিকের নাচনী দেখে তুই হোসনি তো খুশি
সেসব অনেক কথা কত গল্প রাশি রাশি!
মনে পড়ে কল্যাণী ঋত্বিক সদনে সেই তো শেষদেখা
তুই আমি কথা বলি সঙ্গে রুদ্রপ্রসাদ স্বাতীলেখা।

ঘর ঘর করে মরলি রে তুই!
শেষমেশ ফিরে এলি তোর প্রিয় নটবর ঘাটে।
কে বলে যেন, আয় মন বেড়াতে যাবি
বেচাকেনা হলো তো অনেক ভবের হাটে!
মানব জীবন রইল পতিত
ওই দেখ রামপ্রসাদও পঞ্চবটী ছেড়ে যায়,
ধীর পায়ে হাঁটে।

তোকে খাবে আগুন, তুই শুয়ে থাকবি চিতায়।
আমি তোকে নিয়ে তোর স্বজনের সাক্ষাৎকার অডিও-ভিডিও করি শেষবেলায়।

আমিও এখন বসে আছি ঘাটের কিনারে।
সবাই আগুনকে অগ্নীশ্বর বলে,
আমি বলি অগ্নীশ্বরী।
পারাপারে যাবো
জানিনা হাতে আছে কিনা পারানির কড়ি!