অবতক খবর,১২ ফেব্রুয়ারি: “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি উঠে গেল তৃণমূল দল থেকে। পশ্চিমবঙ্গে এক অবাক করার সিদ্ধান্ত নজরে পড়ল। প্রথমে একটি প্রার্থীর নাম প্রকাশিত হল, পরে তা আবার পরিবর্তিত হয়ে গেল। এইভাবে বেশ কয়েকবার প্রার্থীর নাম পরিবর্তন করা হল। কোথাও দেখা গেল একটি ওয়ার্ডে একই দল থেকে দুজন প্রার্থী নমিনেশন দিল এবং প্রচারেও নামল দুজনে।

কিন্তু অবাক করা বিষয় হল, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন এক ব্যক্তি এক পদ থাকবে।

এই নীতি যে আর রইল না তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে পৌর নির্বাচনে। ‌ টাউন সভাপতি তিনি রয়েছেন তিনি টিকিট পেয়েছেন,আবার জেলা সভানেত্রীও টিকিট পেয়েছেন, অন্যদিকে যুব সভাপতিও টিকিট পেয়েছেন।

তবে কি জেলাস্তরে ফের নতুন করে সংগঠন তৈরি হবে? নাকি কাউন্সিলর যারা তারা এখন জেলার দায়িত্বও সামলাবে? এই প্রশ্নগুলি তুলে উচ্চ নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ কর্মীরা।

দলের সাধারণ কর্মীরা বলছেন, যারা জেলা,যুব ইত্যাদির দায়িত্বে রয়েছেন তারা যদি টিকিট পেয়ে যান, তাহলে আমরা সাধারণ কর্মীরা এত বছর দল করে কি পেলাম? আমরা না পেলাম টিকিট, আর না পেলাম আমাদের পরিশ্রমের ফল। দল আমাদের যোগ্য সম্মান দিল না।

তারা আরো বলছেন, তবে এই যে যারা টিকিট পেয়েছেন,তাদের জেলা এবং যুব দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। নইলে সাধারণ কর্মীদের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ্যে বিক্ষোভ আকারে বেরিয়ে আসবে। অর্থাৎ তারা বড়সড় আন্দোলন করবেন।
এই ধরনের মন্তব্যই ভেসে আসছে তৃণমূলের সাধারণ কর্মীদের মধ্যে থেকে।

অন্যদিকে বিরোধীরা বলছে, এই দলে সকলেই নেতা। এই দলের কোন অনুশাসন নেই। যে যতো টাকা দেবে সে তত ভালো পদ পাবে এবং টিকিটও পাবে। যার যত ক্ষমতা,সেই নিজের মতো চালনা করে এই দল। দল বড় নাকি কাউন্সিলর পদ বড় তা বোঝাই যাচ্ছে না। কারণ যিনি জেলার দায়িত্ব পেয়েছেন, অর্থাৎ যিনি সমগ্র জেলা চালনা করবেন তিনি যদি আবার কাউন্সিলরের টিকিট পান, তাহলেতো কাউন্সিলর পথটাই বড় কারণ জেলা নেতার থেকে কাউন্সিলর হয়ে বেশি কামাই করা যায়। ‌
এমনই বলছেন বিরোধীরা।