“ডেবরা বিজেপি ঘরে ‘আগুন’ , পার্টি অফিসে মদ মাংস আসর অভিযোগ তুলে তুলকালাম বিজেপি দপ্তর,”

পশ্চিম মেদিনীপুর :- “তিন বিধানসভার পরাজয়ের ২৪ ঘন্টা যায়নি কোন দলের আগুন লাগল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির ঘরে। মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের নিয়ম করা হয়েছে এই অভিযোগ তুলে নিজেদের দলীয় দপ্তরে উন্মত্ত তাণ্ডব চালালে বিজেপি কর্মীরা। শুক্রবার ডেবরা থানার এই ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে গেল যে ‘ অন্যরকম দল’ বলে পরিচয় দেওয়া বিজেপির বঙ্গ রাজনৈতিক গুটিবাজি সম্পূর্ণতা লাভ হয়েছে।”

“স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা দলীয় কার্যালয়ে সভা করার পর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল কর্মকর্তাদের জন্য। আর সেখানে ঢুকে পড়ে বিজেপির একদল কর্মী এবং মন্ডল সভাপতি নির্বাচনে কেন পুরােন কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ তুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার পুরাতন সভাপতি রতন দত্ত অনুগামীরা। ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয় অফিসের চেয়ার টেবিল সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র।”

“শুধুই ভাঙচুর নয় আক্রমণকারীরা নির্বিকারভাবে মারধর করেছেন উপস্থিত বিজেপি কর্মকর্তাদের। চুলের মুঠি ধরে নিচে ফেলে দিয়ে চলে লাথি ঘুসি কিল চড়। আক্রমনের মুখে দিশেহারা হয়ে পালাতে দেখা যায় আক্রান্ত কর্মকর্তাদের। ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বর্তমান সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্য। বিক্ষোভের মুখে ভাঙচুর করা হয় তার গাড়িটি। উল্টে দেওয়া হয় অনেকে বাইক।”

“বিক্ষুব্ধদের দাবি, অন্তরা ভট্টাচার্য জেলা সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই পুরনাে কর্মীদের ব্রাত্য করে দল পরিচালনা করছেন। সম্প্রতি দলের মন্ডল সভাপতি নির্বাচনে দলে স্থান পেয়েছে অন্তরা ভট্টাচার্য অনুগামী নামে পরিচিত নব্য বিজেপি কর্মকর্তারা।সঞ্জয় সাঁতরা, অজিত ঘােড়াইয়ের মত বিক্ষুব্ধ আক্রমনকারী বিজেপি কর্মীদের দাবি, দল হারার পরেও কার্যালয়ে এরা মদ মাংস দিয়ে পিকনিক করছে। এদের জন্য দলের আজকের এই অবস্থা।”