অবতক খবর,আহমেদপুর,২৬ মার্চ: ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার নজির বীরভূমে৷ ডাইনি সন্দেহে দুই আদিবাসী দম্পতিকে পিটিয়ে মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের মধ্যে। ঘটনাটি সাঁইথিয়া থানার আহমেদপুরের ন পাড়ায়। এই ঘটনায় প্রতিবাদে সরব আসেপাশের গ্রামের মানুষজন৷

শুক্রবার ন পাড়ার বাসিন্দা এক আদিবাসী দম্পতিকে ডাইনি সন্দেহে বেধড়ক মারধর করে গ্রামবাসীরা৷ গুরুত্বর জখম অবস্থায় তাদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ এদিন চিকিৎসারত অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়৷ মৃতদের নাম পাণ্ডু হেমব্রম (৬২) ও পার্বতী হেমব্রম (৫২)। তড়িঘড়ি গ্রামের মোড়ল রুবাই বেসরা নেতৃত্বে গ্রামের কয়েকজন মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গ থেকে নিয়ে যায়৷ দেহ ট্রাক্টরে করে নিয়ে গিয়ে সাত সকালে শান্তিনিকেতন থানা এলাকার বেনেডাঙা গ্রামের শ্মশানে দাহ করতে যায়৷ খবর পেয়ে ওই গ্রামের মানুষজন দেহ দাহ করতে বাধা দেয়৷ প্রতিবাদ করে হেরুকা গ্রামের বাসিন্দারাও৷ খবর পেয়ে সাঁইথিয়া ও শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। আসেপাশের গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রামের মোড়লকে আটক করেছে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। পরে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দিয়ে গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে মৃতদেহ দুটির সৎকার্য করা হয়৷

তবে, একবিংশ শতাব্দীতে এসেও ডাইনি সন্দেহে দম্পতিকে পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। প্রশাসনের ভূমিকা, সচেতনামূলক প্রচারের অভাব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও, পুরো ঘটনার তদন্তের উপর নজর রাখছেন বোলপুরের মহকুমা শাসক অয়ন নাথ।

ঘটনাস্থলের পাশের গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, “আমরা দোষীদের শান্তি চাই৷ এই যুগেও ডাইনি বলে কিছু আছে নাকি৷ তাও ডাইনি সন্দেহে পিটিয়ে মেরে দিলো। আমরা চাই ন পাড়ার দোষীদের শান্তি হোক৷ সব গ্রামবাসীরা মিলে প্রতিবাদ করব আমরা।”