টুকুনের আবিষ্কার / তমাল সাহা

রাষ্ট্রশক্তি কিভাবে নয়া-পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষা প্রসারে নেমেছে তা জানাচ্ছে টুকুন, আমার ছোট্ট মেয়ে, শুনুন…

টুকুনের আবিষ্কার
তমাল সাহা

টুকুন বলে,
বাবা! ভেবে দেখলাম রাষ্ট্র বা শাসক মানেই সব খারাপ, এটা বলা ঠিক নয়।

আমি টুকুনের দিকে তাকিয়ে থাকি।

টুকুন বলে,
শিক্ষা প্রসারে রাষ্ট্রের ভূমিকাটা তুমি খেয়াল করেছো?
রাষ্ট্র কত সহজেই তোমাকে N,R,C,P,A — এই পাঁচটি ইংরেজি বর্ণ চোখের সামনে এনে দিয়েছে। এগুলো বারংবার উচ্চারণ ও লিখনে তুমি সমৃদ্ধ হয়েছো।

আমি বলি, মানে?

টুকুন বলে,
রাষ্ট্র তোমাকে NRC, NPR, CAA এই শব্দ-সংক্ষিপ্তকরণ শেখাচ্ছে তো বটেই, তুমি এর অর্থ National Registration Certificate, National Population Registration, Citizen Amendment Act তো জানছোই, সঙ্গে এর বাংলাও শিখে যাচ্ছো — এর পরিণতি খারাপ বা ভালো যাই হোক।

টুকুন বলে,
এটাও শিক্ষাদানের একটা সহজ পদ্ধতি।
রাষ্ট্র এই শিক্ষার সুযোগ তোমার কাছে এনে দিয়েছে।
তুমি বলো, রাষ্ট্রশক্তি কি সত্যি খারাপ? তুমি কত সহজেই ইংরেজি শিখে যাচ্ছো।

দেশে বেকার বা পেটে খিদে থাকলেও তো শিক্ষার প্রসার হচ্ছে।
সেটাই বা কম কিসে!
শিক্ষার চেয়ে বড় আর কী আছে?

মনে আছে বাবা, কে যেন বলেছিল—
শিক্ষা আনে চেতনা, চেতনা আনে বিপ্লব।

আমি বলি,বেশ তো শ্লেষ করতে শিখে গিয়েছিস!

শিখবো না?
য্যায়সা বাপ ওইসী বেটি
এনসিআর-এনপিআর নেহি মাঙতা
মাঙতা কাম কাপড়া মকান রোটি!