অবতক খবর , সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় ,পূর্ব মেদিনীপুর :- পূর্ব মেদিনীপুর এর ভবানীপুর গ্রাম এ রয়েছে অতি প্রাচীন ঝিংলেস্বরী মন্দির । কথিত আছে পূর্বে ওই স্থানে ছিল হলদি নদী এবং নদীর পাশে ছিল হিঙ্গুল গাছের বন ।এখন যে স্থান এ মন্দির সেই স্থান এ জাহাজ নোঙ্গর করতো.একদিন একটি জাহাজ সেখানে নোঙ্গর করা কালীন জাহাজের নাবিকরা তামাক সেবন করছিলো সেই সময়ে একটি বাচ্চা মেয়ে তাদের কাছে আগুন চায়. কিন্তু নাবিকরা বলে আগুন লাগলে সেই মেয়েটিকে জাহাজে উঠে আসতে হবে ।

মেয়েটি নাবিকদের সতর্ক করে যে জাহাজে উঠলে দিতে হতে পারে খেসারত । কিন্তু নাবিকরা কোনো কথায় কান দেয়না ।মেয়েটি জাহাজে উঠলে দেখা যায় জাহাজটি বসে গিয়েছে এবং মাস্তুলে অধিষ্ঠান করছে মাতৃমূর্তি , সেই থেকেই সেই স্থানেই গড়ে ওঠে মাতৃমন্দির । পূর্বে লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিল এই মন্দির , পরে মহিষাদলএর রাজা দেবপ্রসাদ গর্গ এই মন্দিরের বিষয়ে জানতে পারেন এবং প্রায় 350 বিঘা জমি দান করেন । মন্দিরে সেবার অধিকার পান পতি বংশ কিন্তু পতি বংশ লোপ পাওয়ার কারণে সেই সেবার ভার এসে পড়ে উত্থাসিনী ও মিশ্র পরিবারের ওপর । সেই থেকে ওই ২ পরিবার সেবা করে চলেছেন মায়ের ।মা সারাবছর এখানে উগ্রতারা হিসেবে পূজিতা হন ।

রাজা দেবপ্রসাদ গর্গ এর নির্দেশে এখানে দূর্গা পুজোর প্রচলন হয় । ভবানীপুর গ্রাম এ কোনো দেবীমূর্তির পুজো হয় না মায়ের নির্দেশে  ,আর তাই দূর্গা পুজোর সময়ে মায়ের মূর্তি পুজোর রীতি নেই ,তাই হয় ঘটপুজো ।

 

মায়ের ভোগ হিসেবে আমিষ এর প্রচলন রয়েছে এখানে , মা জাগ্রত বলেই জানান দর্শনার্থীরা ।তাই ভিড় লেগেই থাকে প্রতিদিন.প্রত্যেক বছর দূর্গা পুজো ধুমধাম এর সাথে হয় কিন্তু করোনা আবহে পুজো হবে রীতি মেনেই। হয়তো থাকবে না আগের জৌলুস কিন্তু আচার রীতি এক থাকবে বলে জানান মন্দিরের পূজারী।