অবতক খবর,১২ মে: উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা পশ্চিমবঙ্গের করোনা আক্রান্ত জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে এবং এখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক দলেরা। সেই অনুযায়ী এই জেলায় করোনা বিধিকে মান্যতা দিয়ে এই জেলাকে সম্পূর্ণ সচেতন করার জন্য প্রশাসনিকভাবে অর্থাৎ নগর প্রশাসন ও থানা প্রশাসনের তেমন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। ফলে এখানে করোনা আক্রান্তের হার বেড়েই চলেছে।

এই জেলার মানুষ এখনো পর্যন্ত হন্যে হয়ে ঘুরছে, কোথায় বেড পাবেন, কোথায় করোনা হাসপাতাল, এই সব হদিশের অবস্থায় রয়েছে। আঞ্চলিক ভাবে দেখা যাচ্ছে যে পৌর প্রশাসনের পক্ষ থেকে যারা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাজ করতেন বা ওয়ার্ড কমিটি বলে যেটা ছিল সেটি ডিফাং হয়ে গিয়েছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু জনস্বার্থে তারা এলাকায় এলাকায় কোন জনসংযোগ করছেন না।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জেলা সিটু’র পক্ষ থেকে আজ বারাসাত জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয় এবং এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হচ্ছে—-

১.কোভিড পরিস্থিতিতে ভ্যাক্সিন সার্বজনীন করতে হবে,

২.সকলের টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে,

৩.লকডাউনের মধ্যে থাকা যে সকল পরিবারগুলো ইনকাম ট্যাক্সের আওতায় পড়ে না তাদের মাসিক ৭৫০০ টাকা করে প্রদান করতে হবে এবং বিনা মূল্যে খাদ্য প্রদান করতে হবে,

৪.বকেয়া লকডাউন ওয়েজ যা আজও শ্রমিক রা পায়নি তা মালিকদের দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে,

৫.শ্রমিকদের ছাঁটাই, মজুরি হ্রাস আবার যাতে না ঘটে তার ব্যবস্থা করতে হবে,

৬.নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে,

৭.বন্ধ হওয়া জুট মিল খুলতে হবে।

আরো বিভিন্ন দাবী নিয়ে সি.আই.টি.ইউ উত্তর ২৪ পরগণা জেলার পক্ষ থেকে
বারাসাতে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়।