অবতক খবর, ১০ ফেব্রুয়ারিঃ রাত্রির তামস নেমে এসেছে আবার দক্ষিণ সমুদ্র কিনার—ভারত পাড়ায় যমুনা নদী তীরে। গান্ধীনগর অন্ধ রাত্রি নেমে এসেছে আবার। অস্ত্রবান এই রাত্রি, ছুটছে মহল্লা থেকে মহল্লায়, রাষ্ট্রীয় ডালকুত্তাই এখন শাসকের হাতের সম্বল সহায়।  এই রাষ্ট্রীয় ডালকুত্তা ছুটে যাবে আরো বহুদূর, শাহীনবাগ, পার্ক সার্কাস, আরও কত পাড়ায় পাড়ায়। নারীদের কেড়ে নেবে ঘুম, তুমি আমি এখনও নিথর নিঝুম।

এইমাত্র সংবাদ এল সশস্ত্র বাহিনী ঢুকে পড়েছে জামিয়া মিলিয়ায়। সেইদিন বাতাসে একদিন ছিল ধ্বনি, শালোকো গোলি মারো, আরো উঠেছিল রব, ইয়ে লো আজাদি হেঁকে রাষ্ট্রীয় বিশাল নিরাপত্তাকে সাক্ষী রেখে গুলি ছুড়েছিল মহান হিন্দু এক নাবালক।

এখন মধ্যাহ্ন বেলা, মাথার উপর গনগনে সূর্য, মিছিল চলেছে সংসদ ভবনের দিকে। দ্বিপ্রাহরিক সূর্যকে কে রোখে? বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়ারা চায় আজাদি, চায় আশ্রয়ের অধিকার।মিছিল হাঁটতে শিখেছে, সে এখন চলমান দুর্বার।

এখন অপরাহ্ন বেলা, মিছিলে লেগেছে আঁচ, সূর্য অস্তগামী হলেও মিছিলে লেগেছে পুলিশেরও আক্রমণাত্মক ঝাঁঝ।চতুর্দিকে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। পড়ুয়াদের কাঁধে জাতীয় পতাকা ওড়ে। নিচের বাতাস উত্তপ্ত হয়ে ঊর্দ্ধাকাশের দিকে উঠে যায়। সংঘাতে নামে পুলিশ মিছিলের পথ আটকায়।

পুলিশি দাপট তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় এরা কারা? যোদ্ধারা সুখদেব বিরাট থানা ঘেরাও করে, বাড়তে থাকে পড়ুয়াদের ভিড়।ভারত মহাসাগরে ফুঁসে ওঠে ঢেউ আছড়ে ভেঙে ফেলে সমুদ্রতীর।

বেলা বাড়ে শতশত কমরেড ভেঙে ফেলে পুলিশের ব্যারিকেড। দশচক্রে ভগবান ভূত। এবার পুলিশ ধারণ করে তার যথার্থ রূপ। পুলিশ তো সব চেনে, পুলিশ এক জীব আশ্চর্য অদ্ভুত।  সে চেনে নারীদের গোপন অঙ্গ, কোমরের নিচে চলে বেদম লাঠিচার্জ বুটের লাথি। ১০ জন পড়ুয়ার যৌনাঙ্গে আঘাত। নজরুল, কোত্থেকে বলে ওঠেন, ভারত আমার! আনিছে আবার নতুন প্রভাত। ‌আশ্রয়-যুদ্ধ হয়ে উঠেছে ঐতিহাসিক। অভিযোগ পুলিশ মিছিলে স্প্রে করেছে হলুদ রাসায়নিক।

এ কি কোনো রাসায়নিক যুদ্ধ? বিশ্বযুদ্ধের মাত্রা পায়। তাহলে মানব সভ্যতা গিয়ে কোথায় দাঁড়ায়?

সফুরা হাসপাতালে কাতরায়,বলে ওঠে লম্বা ছিল পুলিশের হাতে লাঠি, পেটে পিঠে পড়ছিল মার, গোপনাঙ্গ খুঁচিয়ে যাচ্ছিল তারা, এরা কোন গণতন্ত্রকে দিচ্ছিল পাহারা? শাহিন আবদুল্লা বলে, হাত পিছমোড়া করে, পুলিশ তাকে মেরেছে চড় লাথি ঘুষি।পুলিশিরাজের উড়বে পতাকা এদেশে, মনে হয় আর নয় দেরি বেশি।