অবতক খবর,৩০ ডিসেম্বর: রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে যে, ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে তৃণমূল দলে— কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর পৌরসভার কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পাবে। তবে মূল সিদ্ধান্ত এটিই যে,২৩শে মে ২০১৯-এর পর যারা বিজেপির আক্রমণকে প্রতিহত করেছেন,সেই সমস্ত পোড়খাওয়া তৃণমূল কর্মীরাই এই কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পাবেন। যে সমস্ত কর্মীরা যাদের চরিত্রের দলবদলের চেহারা দেখা গিয়েছে, একবার তৃণমূল আর বিজেপি, আবার তৃণমূল, প্রয়োজনে আবার বিজেপি, এই কৌশলবাজি করেছেন,এই সুবিধাবাদীপন্থা যারা নিয়েছেন তাদের দিকে উচ্চ তৃণমূল নেতৃত্ব নজর রেখেছেন। জানা যাচ্ছে, তারা কোনমতেই কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পাবেন না। তারা যত বড়ই প্রাক্তন নেতা হোন আর না হোন। ফলত এই মনোনয়ন নিয়ে কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহরের তৃণমূল কর্মী এবং যারা প্রাক্তন কাউন্সিলর তাদের মধ্যেও একটা চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। তারাও একটা রহস্যময় ভাবনায় দোলায়িত যে তারা পুনরায় মনোনয়ন পাবেন কিনা।

এদিকে আরো জানা গেছে যে, তৃণমূল দলের যে সমস্ত কাউন্সিলররা সরাসরি জনগণের কাজ করেছেন এবং যাদের জনমুখী ভাবমূর্তি ওয়ার্ডে তৈরি হয়েছে তারাই মনোনয়ন পাবেন,এটা তৃণমূল দলের উচ্চস্তরের থেকে এই নির্দেশ এসেছে বলে জানা গেছে। তবে এর থেকে বোঝা যাচ্ছে যে পূর্বে অর্থাৎ প্রাক্তন কাউন্সিলরদের অনেকে মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। তাছাড়া এখানে নির্বাচনী ক্ষেত্রে রদবদল ঘটে গেছে। অনেক ওয়ার্ড সংরক্ষিত আসন হয়েছে। অনেক ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়েছে মহিলা প্রার্থীর জন্য। ফলত কেউই বুঝতে পারছেন না যে কারা মনোনয়ন পাবেন। তবে কিছু মাতাল চক্র তৈরি হয়েছে, তারা তৃণমূলের এই মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে তৃণমূল নেতারাই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন।