জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ: করোনা কো ভারত জরুর রোখ দেঙ্গে! লড়াই জারি রহেঙ্গে

বিনয় ভরদ্বাজ, অবতক খবর, 14 এপ্রিল :: আজ বেলা দশটা নাগাদ ফের প্রধানমন্ত্রীর দেশবাসীদের নিজের বার্তা দিলেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন যে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে দেশে লকডাউন এর সময়সীমা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন আগামী 3রা মে পর্যন্ত লকডাউন এর সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হল।

প্রধানমন্ত্রী জানান ভারত সরকার যখন দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তখন সময় মত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাই আমাদের দেশের অন্যান্য দেশের তুলনায় সংক্রমনের সংখ্যা খুবই কম। আমরা অনেক দেশের তুলনায় বেটার অবস্থায় আছি।

প্রধানমন্ত্রী জানান আমরা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি সেই পদক্ষেপেই করোনার উপরে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হয়েছি। তাই এখন লকডাউন ও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স দুটোই মেনে চলতে হবে। তবে এই দুটি মানার ক্ষেত্রে আগামী 3রা মে পর্যন্ত শক্তপোক্ত ভাবেই লকডাউন ও সোশ্যাল ডিসটেন্স এর নিয়ম মানতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান আর যাতে নতুন করে দেশে কোন হটস্পট তৈরি না হয় তার দিকে বিশেষ করে নজর রাখতে হবে। শুধু তাই নয় যে কোন জায়গা হটস্পট তৈরি হতে পারে তার যদি কোন সম্ভাবনা থাকে তার ওপর নজর রাখতে হবে আর সে গুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেখানে যথা যথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি জানান আর একটাও নতুন করে কোনো করোনা রোগী না বাড়ে তার দিকেই নজর রাখতে হবে। আর যদি বারে তাকে নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত হবার প্রয়োজন আছে । কোন জায়গায় একটাও করোনার মৃত্যু হয় তাহলে সেই জায়গাকে চিহ্নিত করে আরো ভালো ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান আগামী 20 এপ্রিল পর্যন্ত খুব নিখুঁতভাবে সমস্ত রাজ্যের ওপর নজর রাখা হবে। কারা কিভাবে এই লক ডাউন  পালন করছে তাদের উপরে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। আর তাদের স্ক্যানিং করেই একটা চার্ট তৈরি করা হবে। যারা ভাল ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পেরেছে তাদের নিয়ে দেশ জুড়ে তালিকা তৈরি করা হবে। যারা যারা ভালো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে আগামী 20 এপ্রিল পর্যন্ত তাদের ক্ষেত্রে সেই সব জায়গায় কিছু কিছু শর্তসাপেক্ষ লক ডাউনে ছাড় দেওয়া হবে। নচেৎ 3রা মার্চ পর্যন্ত সকলকে কড়াভাবে লকডাউন ও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স নিয়ম মেনে চলতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান ছাড় দেওয়ার জায়গা গুলোতে যদি কোনো কারণে লকডাউন এর নিয়ম ভাঙ্গা হয় বা সেখানে যদি কোন রোগীর বৃদ্ধি পায় তাহলে সমস্ত ছাড় বাতিল করে আবার শক্তপোক্ত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী বলেন করোনাকে আপনারা কোনোভাবেই কোনমতে হালকা ভাবে নেবেন না। শক্তভাবে নিয়ম পালন করুন আর  নিজেকে নিজের পরিবারকে ও দেশকে সকলকে করোনার হাত থেকে বাঁচান।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন প্রাইম মিনিস্টার গরিব কল্যাণ যোজনা কে সামনে রেখে গরিব ভাইদের জন্য দেশবাসী  বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করেছে। করোনা নিয়ে গাইডলাইন তৈরি করেছে সরকার।  আগামী দিনে একটি নতুন গাইডলাইন জারি করা হবে যাতে লকডাউন ও সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স কিভাবে মানা যায় সেসব নিয়ে নিয়ম-নীতির একটি গাইড লাইন আগামীকাল জারি করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী জানান এই মুহূর্তে ফসল ঘরে তোলার সময় তাই কৃষকদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় পর্যাপ্ত অবস্থায় মানুষের কাছে পৌঁছে যায় তার জন্য সাপ্লাই লাইন যে বাধা গুলো আছে সেগুলো দূর করা ও গরিব মানুষের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী পৌঁছায় সে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানান দেশে ঔষধ ও খাদ্য সামগ্রী পর্যাপ্ত মাত্রায় রয়েছে তাই কাউকে চিন্তিত হবার কোন কারণ নেই।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানান করোনা মোকাবিলার জন্য 10 হাজার রোগী হলে কম করে 1500 থেকে 1600 সিটের প্রয়োজন লাগে আমাদের দেশে এই মুহূর্তে এক লক্ষের বেশি বেডের ব্যবস্থা ইতিমধ্যে করা হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী জানান দেশে 600 হাসপাতাল কোভিড ট্রিটমেন্ট কে নিয়ে কাজ করছে এই ব্যবস্থা এখন আরো চাঙ্গা করার চেষ্টা চলছে।

প্রধানমন্ত্রী দেশের যুব বিজ্ঞানীদের আহ্বান করে জানান বিশ্বকল্যাণ হেতু মানব সভ্যতার কল্যাণ হেতু আপনাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন আছে আসুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন করোনার ওষুধ তৈরি করুন খুঁজে বার করুন। প্রধানমন্ত্রী জানান ধৈর্য আর নিয়ম কঠোর নিয়ম পালন করেই আমরা করোনা কে পরাস্ত করতে পারি ।