অবতক খবর,২৮ জানুয়ারি: নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের আমদাবাদ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৫৮ নম্বর বুথে সাবমারসিবল বসানোর জন্য পঞ্চায়েত থেকে টেন্ডার করা হয়। টেন্ডার অনুযায়ী কন্টাকটর ওই বুথে সাবমারসিবল বসানোর কাজ শুরু করে।

সমস্যার সূত্রপাত হয় গত দুদিন আগে।বিজেপি কর্মীরা, সাবমারসিবল পাম বসানোর কাজ বন্ধ করে দেয়।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে ৮২৩১ নম্বর দাগ নম্বরের জায়গায় সাবমারসিবল বসানোর জন্য টেন্ডার করা হয়েছে পঞ্চায়েত থেকে, কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে সাবমারসিবল বসানো হচ্ছে ৮৩৩১ নম্বর দাগের জায়গায়।
সেই অভিযোগ কে সামনে রেখে বিজেপি কর্মীরা, সাবমারসিবল বসানোর কাজ বন্ধ করে দেয়।

বর্তমানে সমস্যায় পড়েছে ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রায় কুড়ি থেকে ২৫ টি পরিবার। এলাকাবাসীর দাবি তারা দীর্ঘদিন রাস্তা এবং জলের সমস্যায় ভুগছিলেন। পঞ্চায়েত থেকে এ বছর টেন্ডার করে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর ব্যবস্থা করা হয়।
কিন্তু গত দুদিন আগে কিছু লোকজন এসে সাবমারসিবল পাম্প বসানোর কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, রাজনৈতিক কারণে তারা কেন সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এলাকাবাসীর প্রশ্ন: তারা কি সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকবে? কবে মিটবে তাদের জলের সংকট?

বিজেপির নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের মন্ডল ১ এর সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার পাল বলেন,”আমরা চাইছি যেই জায়গায় টেন্ডার হয়েছে সেই জায়গায় সাবমারসিবল বসুক অন্য জায়গায় বসানো যাবে না আমরা উন্নয়নের পক্ষে কিন্তু দুর্নীতির নয়”।।

ওই এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রাম ২ ব্লক কমিটির সদস্য প্রভাস ভূঁইয়া বলেন,”বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে এই ধরনের কাজ করছে, ওই সাবমারসিবল বসানোর জায়গার দাগ নম্বর টাইপিং ভুল ছিল, ৮৩৩১ নম্বর এর জায়গায় ৮২৩১ নম্বর হয়ে যায়। দাগ নম্বর সংশোধন করার জন্য,ওই এলাকার মানুষজন গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং বিডিও অফিসে মাস পিটিশন করে। প্রধান এবং বিডিওর তত্ত্বাবধানে তা সংশোধন করা হয়।”

আমদাবাদ এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুতপা রানা মান্না বলেন “রাজনৈতিকভাবে কিছু মানুষ ওখানে কাজ বন্ধ করেছে, টাইপিং এর জায়গার দাগ নম্বর ভুল ছিল ওই এলাকার লোকজন গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং বিডিওর কাছে মাস পিটিশন করেছিল, সেই দাগ নম্বর সংশোধন করে তারপরে টেন্ডার ডাকা হয়েছে”।।

বিজেপির পক্ষ থেকে তারা তাদের অভিযোগ করছেন, তৃণমূল কংগ্রেস তারা তাদের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, পঞ্চায়েত তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
কিন্তু বর্তমানে সাবমার্সিবল বসানোর কাজ বন্ধ রয়েছে।
কিন্তু সাধারণ এলাকাবাসী যারা নিত্যদিন জলের সংকটে ভোগেন, তাদের একটাই প্রশ্ন:
জল কি আমরা পাবো না?