অবতক খবর :: হুগলি :: হুগলির শ্রীরামপুর থানার অধীন বৈদ্যবাটীর সাথে শেওড়াফুলির পাইকারি বাজারের একমাত্র যোগাযোগ স্থাপনের জরাজীর্ন সেতুটি মেরামত করার জন্য তদন্তে এল হুগলী জেলার চন্দনগর সাব ডিভিশনের সেচ্ দপ্তরের সহকারী বাস্তুকার পার্থ সারথি কোটাল সঙ্গে ছিল রাজ্যের বিরোধী দল নেতা আব্দুল মান্নান ও বৈদ্যবাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান অরিন্দম গুইন ও স্থানীয় কাউন্সিলর বলরাম ঘোষ।

বৈদ্যবাটি ও শেওড়াফুলির যোগাযোগ স্থাপনের পুরনো সেতুটি বহুবছর আগে তৈরি, সেই কারণে সেতুটি মেরামত খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে । প্রতিদিন এই ব্রিজটির ওপর দিয়ে কয়েক হাজার টন মালবাহী গাড়ি যাতায়াত করে এবং এখান দিয়ে প্রচুর নিত্যযাত্রীও যাতায়াত করে শেওড়াফুলি বাজার, শেওড়াফুলি স্টেশন, কালিবাড়ি, স্কুল ও মাতৃ সদনে।

এই রাস্তাটি একমাত্র ব্যবহারের পথ দীর্ঘদিন মেরামতির না হওয়ার কারণে এই সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের প্রয়োজন।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ যে, কোনো নির্বাচন আসলেই রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং সরকারি দপ্তরের আধিকারিকরা সদলবলে চলে আসে এখানে পরিদর্শন করতে। তারপরেই আশা শেষ হয়ে যায় ভোট মিটতে, সাধারন মানুষের দাবি যাতে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচা যায় তাই দ্রুত এই সেতুটি সারানোর প্রয়োজন।

সেচ দপ্তরের আধিকারিক জানায় এই কাজটি করার জন্য টেন্ডার পাশ হয়ে গেছে কিন্তু এই রাস্তাটি বিকল্প কোন রাস্তা না থাকার জন্য চিন্তায় ফেলেছে।

সেচ দপ্তরের টাকা অনুমোদন হয়ে গেছে কাজটি খুব তাড়াতাড়ি শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। কাজটি তাদের শুরু থেকে শেষ করতে দেড় থেকে দুই মাস সময় লাগবে এর জন্য সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছে তিনি।