ধর্ম বিভাজন, দাঙ্গা, বোমাবাজি,খুন, সেনাটহল– কবিরা কেমন আছে?

জয় হোক
তমাল সাহা

ঘরের পাশে ঘর করি, সঙ্গ করি কার?
এ থাকে কালীঘাটে,ও থাকে হরিদ্বার।
তোষণ যন্ত্র দুইয়ের হাতে,কে কারে কয়?

আমি শুধু নির্ভেজাল! কোনো পক্ষে নয়!

পদ্মফুলে উত্তেজনা, ঘাসফুলে বুঝি নাই?
শ্রীরাম করে দুর্গাপূজা, রাবণের রক্ষা নাই।
কোনদিকে যাই আমি, সর্বদিকে ভয়।

আমি শুধু পথ খুঁজি, কোনদিকে ধান্দা হয়।

ধর্ম দাঙ্গা শব্দ দুটি এখন হতেছে প্রচার।
লালন কত গীত গেয়েছে, কমেছে বেকার?
পেটে দানা না থাকলে কোন্ কথাটা হয়?

আমি লিখি অনেক কথা, মোরে কবি কয়!

কালি কলম থাকলেও মঞ্চ লাগে ভালো।
সততার চটি দেখি,জ্বালছে বড়ো আলো।
সেই আলোতে স্নান করে মন শুদ্ধ হয়।

শাসকের ছত্র বিশাল,পেয়েছি আশ্রয়।

বিষ্ণুমাতা প্রিয় আমি, ত্রিশূলের পক্ষে নাই।
ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা বাঁধায়, তার বিরুদ্ধে যাই।
ধর্ম ঝোলে পাল্লায়,কে করে দু-ধর্মই তোষণ?

শপথ করি,তার বিরুদ্ধে নই আমি এখন।

মৌলবী ভাতা পায়, পুরুতও পায় পরে
আগুন তো নেভাতে হবে হিন্দুদেরও ঘরে।
ধর্ম পণ্য, ভোটবাজারে তার বহুত দাম।

লক্ষ্য মোর ডানে বামে, কোথা লেখাই নাম।

কাটমানি ঘুষ নিয়ে কথা বলা বারণ।
ভূষণ পাইনি এখনো, চুপ থাকা এর কারণ।
মানুষ!শুধুই মানুষ! জাত ধর্ম কিছু নাই।

এটা লেখাই নিরাপদ, শিকেয় থাক লড়াই।

লালন কবীর রামপ্রসাদ সেই কথাটা কয়।
ওরা আমার গুরুমশাই,ওরাই বরাভয়।
উপরে ওই দিকে কিন্তু মুদ্রার দিকে চোখ।

কৌশলে পদ্য লিখি, নিজের জয় হোক।