অবতক খবর,৪ মে: ভোটে জয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ‘লেজার ইভিলের’ নেতৃত্বে ১৪ জন খুন হয়ে গিয়েছেন।

বীজপুর জুড়েও শুরু হয়ে গেছে বিজয়ের দাপাদাপি। কাঁচরাপাড়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চলেরই কয়েকটি বাড়িতে জয়ের উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে তথাকথিত তৃণমূলীরা হুমকি দিয়েছে। অনেক জায়গায় শারীরিকভাবে নিগ্রহ করেছে। এইজন্য তৃণমূল কংগ্রেস পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। যাতে বীজপুর শান্ত থাকে। জয়োল্লাসের নামে কোনো রকম অবাঞ্ছিত ঘটনা যাতে না ঘটে। তা সত্ত্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঘটনা ঘটেছে পরবর্তীতে আরো বিশদভাবে জানানো হচ্ছে।

অদ্ভুত রকম বাঙালির শ্রেণী চরিত্র দেখা যাচ্ছে। কারণ রাজনীতি বলে যে একটা সংস্কৃতি ছিল বর্তমানে সেটি বিলুপ্ত। এখন সেটা দলবাজিতে পরিণত হয়েছে। ফলত এখন বীজপুর অঞ্চলে যারা আছেন তারা বিরোধী পক্ষের হলেও, তথাকথিত বিজেপি দলের সমর্থক হলেও,তারা বলছেন যে ‘আমরাই তৃণমূলকে জিতিয়েছি, আমরাই পুরনো তৃণমূল।’ অর্থাৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন এক পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে, ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তাদেরও ঘোষণা করতে হচ্ছে আমরাই কোনদিন তৃণমূল ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমাদের ভোটেই তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

বিভিন্ন অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়ের বাড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিশেষভাবে সবুজ আবির খেলার উল্লাস দেখা গিয়েছে। অনেকে মনে করছেন এই আনন্দ উল্লাস অন্য মাত্রায় যেতে পারে। অর্থাৎ হিংসা বা ঘৃণার রাজনীতিতে পরিণত হতে পারে।কাঁচরাপাড়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পার্টি অফিস, বাড়িঘর ভাঙচুর দেবার অভিযোগ আসছে। বিভিন্ন স্থানে পূলিশের নজরদারিতে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সংবাদ ্

রাজনৈতিক জয়ে যাতে জনগণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে না পড়েন, সেইজন্য প্রশাসনিকভাবে নজরদারি করা উচিত এবং জনগণের মধ্যে সাহস সঞ্চারের ব্যবস্থা করা উচিত বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

অন্যদিকে তৃণমূলের জয় প্রার্থী সুবোধ অধিকারী তিনিও থানা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছেন যেই হোক না কেন অন্যায় করলে তাদেরকে আপনি শাস্তি দিন ও গ্রেফতার করুন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেছে, তারাও চাইছেন যে রাজনৈতিক উল্লাস যেন পৈশাচিকতার মাত্রা না পায়। রাজনীতিতে হার জিত আছে। এটা মেনে নিতে হবে। কারণ যেই ভোট দিয়ে থাকুক,যারাই জিতে থাকুক,তারা মানুষ। মানুষের ভোট প্রদানের ফলেই জয় পরাজয় সূচিত হয়েছে।