অবতক খবর: ভোট সন্ত্রাসের জের! জয়ী বিজেপি প্রার্থী-সহ ২৫০জনেরও বেশি পালিয়ে গিয়েছিলেন অসমে। বৃহস্পতিবার ওই ঘরছাড়াদের ফেরাল কোচবিহার পুলিশ।জানা গিয়েছে, প্রাণ বাঁচাতে অসমে আশ্রয় নিয়েছিলেন জয়ী বিজেপি প্রার্থী-সহ ২৫০জনের একটি দল। ৫দিন পরে অসম থেকে ফেরাল কোচবিহার পুলিশ।তুফানগঞ্জের বালাভূত থেকে অসমের রানপাগলি গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিলেন ঘরছাড়ারা। জানা যাচ্ছে, নিরাপত্তার আশ্বাস পাওয়ার পরেই গ্রামে ফিরে এসেছেন তাঁরা।

অন্যদিকে,বিরোধীরা লাগাতার দাবি করে আসছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট মোটেও শান্তিপূর্ণ হয়নি। ভোট পর্ব মিটতেই রাজ্যে এসেছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। পাশাপাশি এদিনই রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক ভিডিয়ো সামনে এনেছে।

রাজ্যে ৩৫৫ ধারা লাগু করা নিয়ে খোদ শুভেন্দু অধিকারী যে পরিকল্পিতভাবে হিংসা তৈরি করেছেন সেদিকেই ইঙ্গিত করে তৃণমূল নেতৃত্ব এই ভিডিও সামনে এনেছে ।ভিডিয়োতে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, পথই পথ দেখাবে।এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে ৩৫৫ লাগবেই। এছাড়া কোনও পরিত্রাণ পশ্চিমবাংলার নেই। অনেক জিনিস করাতে হয়। কী করে করাতে হয় আমি জানি।….এই পর্যন্ত শোনা গিয়েছে ভিডিয়োতে।

শুভেন্দুর সুরে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মুখে ‘৩৫৫ ধারা’। ‘রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, মানুষ ৩৫৫ ধারা প্রণয়নের কথা বলছেন। নির্বাচিত রাজ্য সরকারের কাছে এটা লজ্জার। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে এই সরকার ব্যর্থ। শান্তিতে বসবাসের পরিবেশ বজায় রাখতে রাজ্য সরকার ব্যর্থ’, মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের। সব মিলিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও বঙ্গ রাজনীতি তপ্ত হয়ে উঠেছে ৩৫৫ ধারা এবং ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রাজ্যে আসা ঘিরে।