অবতক খবর,৩০ মে: আজ কাঁচরাপাড়া জোড়ামন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে একটি ঘরোয়া পরিবেশে রবীন্দ্র-নজরুল সন্ধ্যা আয়োজন করা হয় ছান্দিক সংস্থার আয়োজনে। ৪০ জন শিশু-কিশোর কিশোরী শিল্পী কখনো একক কখনো বা সম্মিলিতভাবে রবীন্দ্র নজরুলের কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশন করে। উল্লেখ্য ব এই খুদে শিল্পীদের অভিভাবকেরাও এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।অভিভাবকের সংখ্যাও ছিল প্রায় ১৫ জন।

ছান্দিক প্রকৃতপক্ষে একটি আবৃত্তায়ন শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সুলতা রায় ভট্টাচার্য বলেন,এই অঞ্চলে একটা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে কাজ করে চলেছি। আমার মূল লক্ষ্য শিশু, কিশোর-কিশোরীদের রবীন্দ্র-নজরুল তো বটেই, সুকান্ত এবং বাংলা সাহিত্যে মগ্ন যে কবিরা রয়েছেন বা যাদের কবিতা আমাদের কাছে আবৃত্তিযোগ্য, মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়,সহজ সরল মানুষেরা যাতে রবীন্দ্র-নজরুল এবং বাংলা সাহিত্যকে গ্রহণ করেন, সেইদিকে দিশা রেখেই আমরা কাজ করে চলেছি।

আজকের এই অনুষ্ঠানে হালিশহর ও কাঁচরাপাড়া অঞ্চলে অর্থাৎ বীজপুরকে কেন্দ্র করে কাজী নজরুল ইসলামের যে ভূমিকা,এই জনপদে তাঁর পদার্পণ, নৈহাটি স্টেশনে তিনি যে কয়েদির পোশাক পরেছিলেন এবং কাঁচরাপাড়া রেলওয়ে ওয়েলফেয়ার উইকে ১৯৪০ সালে নজরুল বিচারক হিসেবে এসেছিলেন সে বিষয়ে বিশেষ বক্তব্য রাখেন কবি সাংবাদিক তমাল সাহা।