অবতক খবর,৩১ জানুয়ারি : থামানো যাচ্ছে না শাহরুখ-দীপিকা-জন অভিনীত ‘পাঠান’ ছবিকে। ছ’দিনেই এই ছবি বিশ্ব জুড়ে ৬০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে। বলিউডে নতুন করে প্রাণসঞ্চার করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ‘পাঠান’। গত দু’বছর ধরে বলিউডের সময় খারাপ চলছিল। দক্ষিণ ভারতের মাঝারি বাজেটের ছবিগুলিও টেক্কা দিচ্ছিল বড় বাজেটের বলি ছবিগুলিকে। ‘পাঠান’-এর উত্থান বলিউডের দু’বছরের খরা কাটিয়েছে বলেও দাবি করছেন সিনে-বিশেষজ্ঞরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতেই ৩০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে ‘পাঠান’। ‘পাঠান’-এর শো চলাকালীন প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহ দর্শকদের হাততালিতে ফেটে পড়েছে।

হিন্দি, তামিল এবং তেলুগু ভাষায় ২৫ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘পাঠান’। তার পর থেকে আর এই ছবিকে আটকে রাখা যায়নি। শাহরুখ খানের পাশাপাশি দীপিকা পাড়ুকোন ও জন আব্রাহাম এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। ভারতীয় বাজারে ‘পাঠান’ সবচেয়ে দ্রুত আড়াইশো কোটি আয় করেছে। তবে বিশ্বব্যাপী রোজগারের নিরিখে সেরার সেরা হয়ে ওঠার জন্য পাঠানের সামনে এখনও অনেকগুলি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে তার মধ্যে একটি চড়াই টপকানোর মুখে রয়েছে পাঠান।

আয়ের নিরিখে দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা যশ অভিনীত ‘কেজিএফ’ ছবির প্রথম পর্বকে ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে ‘পাঠান’। তবে সামনে রয়েছে এই ছবির দ্বিতীয় পর্বের আয়। বিশ্ব জুড়ে প্রায় ১৩০০ কোটি আয় করেছিল ‘কেজিএফ-২’।  বিশ্ববাজার থেকে ‘দঙ্গল’-এর আয় ছিল ২০২৪ কোটি। ‘বাহুবলী-১’-এর আয় ছিল প্রায় ১৮০০ কোটি। বাহুবলী-২ আয় করেছিল প্রায় ২৩০০ কোটি। অর্থাৎ আয়ের দিক থেকে সেরার সেরা হতে এখনও এই ছবিগুলির আয়কে ছাপিয়ে যেতে হবে ‘পাঠান’কে। যা ভাঙা কঠিন হলেও অসম্ভব নয় বলেও মনে করছেন সমালোচকরা। প্রায় চার বছর পর শাহরুখের কোনও ছবি বড় পর্দায় মুক্তি পেল। আর মুক্তি পেয়েই জাদু দেখাতে শুরু করেছে এই ছবি।