ছড়া কি, কেন ছড়া লিখতে হয়, কিভাবে ছড়া লিখতে হয় দেখিয়েছিলেন যিনি
সাত ফেব্রুয়ারি গতকাল চলে গেলেন তিনি।
ছড়ার জগতে বর্তমান সময়ে খুলে দিয়েছিলেন নতুন দ্বার।
তিনি ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার।

ছড়াকার
তমাল সাহা

ভবানীপ্রসাদ বাবু কি আর এমন লেখেন, গেলেন চলে।
আমরা কবিতায় ছড়ায় কত কী লিখি হদ্দমুদ্দ বুদ্ধি খেলে!

আমাদের কবিতায় কী পণ্ডিতি!কী পণ্ডিতি!
তার লেখায় মাথা চুলকানো নেই
শ্লেষ আছে, আছে মজা তির্যক গতি।

সমাজ বাস্তবতা নিয়ে তার ছড়া ছড়িয়ে যায়
নকলনবিশ বাঙালির গালে ঠাঁটিয়ে চড় কষায়।
বাস্তব চেতনায় লিখেছেন, ছড়ায় ব্যঙ্গ করেছেন দো-আঁশলা সাহেবি বাঙালিয়ানা।
তীব্র শ্লেষে বলেছিলেন—
…আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না।

এখন আর রইলো না তোদের কোনো ভয়
আজেবাজে যাচ্ছে তাই ছড়া লিখে যা!
খোলা রইল দ্বার,নেই চৌকিদার।
চলে গেছেন তোদের মহাশত্তুর
চামের কাঁটা ভবানীপ্রসাদ মজুমদার!