অবতক খবর,৩১ মার্চঃ তৃণমূল দলটা এখন আগুনের স্তুপের ওপর বসে রয়েছে, যে কোনো দিন – যে কোনো সময়ে গোটা দল গৃহযুদ্ধে ধ্বংস হয়ে যাবে। চোপড়া ব্লকের চুটিয়াখোর অঞ্চলে বিরোধী শূন্য করতে গিয়ে মানুষের সন্মান – গণতন্ত্র – অধিকার সবই কেড়ে নিয়েছে এঁরা। এখন শাসক দলের নেতারা সবাই দোকান খুলে বসেছেন। কেউ চালাচ্ছেন চাকরির দোকান, কেউ পাথর বালি, কেউ পঞ্চায়েত, কেউবা চা-বাগানের দোকান চালাচ্ছেন। এই দোকানদারির বাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা হলেই নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি করছেন এঁরা, আর তাতে অত্যাচারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। চোপড়ার শান্তিশৃঙ্খলা, ব্যাবসা, প্রশাসনিক কাজ সব ব্যাহত হচ্ছে। এই দলের শেষের শুরু হয়ে গেছে অনেকদিন আগেই, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

– বৃহস্পতিবার চোপড়া ব্লকের চুটিয়াখোর অঞ্চলে তৃণমূলের দলীয় কোন্দলে দুইজন খুন হওয়ার প্রসঙ্গে এমন ভাবেই চাঁছাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করলেন চোপড়ার সিপিএম নেতা বিদ্যুৎ তরফদার ও কংগ্রেস নেতা অশোক রায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল চুটিয়াখোর অঞ্চলের দিঘাবানা বুথের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মনোনয়নে একাধিক নাম উঠে আসে তৃনমূলের পক্ষ থেকে, শুরু হয় বচসা। ধিরে ধিরে এই বচসা রণক্ষেত্রের রূপ নেয়, চলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তৃণমূল কর্মী ফইজুল মহম্মদ ওরফে চৈতু ও হাসু মহম্মদ । আহত হন ৩ জন।

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষনা এখনো হয় নি, চোপড়া ব্লকের প্রায় সকল বুথে শাসক দলের প্রার্থী বাছাই পর্বে উঠে আসছে চার পাঁচটি করে নাম, তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে নিজেদের মধ্যেই। তারই প্রমান গোষ্ঠী কোন্দল ও খুনোখুনি।

গত এক দেড় মাসে ইসলামপুর মহকুমায় রাজনৈতিক কারনে খুন হয়েছেন চার পাঁচ জন, এবং সব ক্ষেত্রে বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষই তৃণমূল কর্মী।

নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে চোপড়ার জনমানসে।