অবতক খবর, ৭ ফেব্রুয়ারিঃ প্রয়াত হলেন এই জনপদের পরিচিত শিল্পী চিত্রকর সংস্কৃতি সম্পন্ন মানুষ বিজন কুন্ডু। গতকাল রাতে কলকাতায় এক বেসরকারি নার্সিংহোমে তিনি প্রয়াত হয়েছেন। তিনি
বাস করতেন অনিল রুদ্র সরণিতে।

কাঁচরাপাড়া নামক এই জনপদের বহু পরিচিত শিল্পী তো বটেই মেরাপ শিল্প প্রদর্শনী স্টল শিল্পের কারিগর এই বিজন কুন্ডু।
অর্থনৈতিক সমস্যা তো ছিলই কিন্তু কারোর কাছে কোনদিন হাত পাতেনি, তাঁর অর্থনৈতিক দুরবস্থার বিরুদ্ধে সংগ্রাম কেবলমাত্র এই জনপদে নয় এই লড়াই সুদূর দিল্লি পর্যন্ত সে নিয়ে গিয়েছিল।
সে নিশ্চিত ছিল একজন সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ। সে বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে মান্ধারী স্কুলের পাশে আর্য সমিতির মাঠে। সেখানে প্রখ্যাত সমস্ত শিল্পীরা এসেছেন, গান গেয়ে গিয়েছেন রামকুমার চট্টোপাধ্যায়, এসেছেন মুর্শিদাবাদের ছোটে নবাব, অভিনেতা রীতা কয়াল, শ্রীলা মজুমদার, শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়। এই আর্য সমিতির মাঠে শিল্পমেলারও আয়োজন করেছিল সে।

তাঁর আয়োজনে এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে থিয়েটার উৎসব, পি এল টির সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় করে গিয়েছেন। সে প্রচেষ্টা করে গিয়েছে, এই অঞ্চলের শিল্পীদের মান্যতা দেবার।

তাঁর ভ্রাতা পিকলু-র স্মরণে সে এই অঞ্চলে সম্মান স্বীকৃতি প্রদানের অনুষ্ঠানের পথিকৃৎ।
সংবাদপত্র সম্পাদনায়ও সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। একসময় কাঁচরাপাড়ার উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংস্থা অভিযাত্রীর সঙ্গে সে যুক্ত ছিল। রবীন্দ্রনাথের ১২৫ তম জন্মদিবসে কাঁচরাপাড়া জুড়ে যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছিল সেখানে সে উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। কাঁচরাপাড়ায় উল্লেখযোগ্য সংস্থা সোপানের লোগোটি তাঁর শৈল্পিক হাতেই তৈরি হয়েছিল। ইলাস্ট্রেশন শিল্পেও তাঁর নৈপুণ্যের পরিচয় পাওয়া যায়।
তাঁর অপূর্ব হস্তাক্ষর এবং তুলির টানে ছিল অন্য এক মাত্রা।
তাঁর খামখেয়ালি পূর্ণ জীবন, নিজের প্রতি উদাসীনতা কী তাঁকে মৃত্যুর কাছে নিয়ে গেল!
সম্পূর্ণ নীরবে চলে গেল সে।