অবতক খবর,১৪ মেঃ ১৭ এপ্রিল চলে গিয়েছেন হালিশহরের সমাজ-সংস্কৃতি কর্মী অমল কৃষ্ণ ভৌমিক। অকালে তিনি প্রয়াত হলেন। হালিশহর শরৎ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সম্পাদক ছিলেন তিনি। এই সংসদটি গঠন করে যান হালিশহরের অন্যতম ব্যক্তিত্ব শিক্ষক সাংবাদিক গৌরীপদ গাঙ্গুলী। তারই উত্তরসূরী হিসেবে সাংগঠনিক কার্যক্রম বজায় রেখে চলেছিলেন অমলকৃষ্ণ ভৌমিক।

হালিশহর শরৎ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ একটি অন্যমাত্রা ও ধারার সংগঠন। জাতীয় ঐতিহ্য রক্ষণের ধারক ও বাহক এই সংগঠনটি। স্বদেশ চেতনা গড়ে তোলার কর্মযজ্ঞে এই সংগঠনের সদস্যরা ব্রতী।

অমল কৃষ্ণ ভৌমিক ছিলেন একজন কাজ পাগল মানুষ। অগ্রজ ও কবি সাহিত্যিক দেশপ্রেমিক বিপ্লবীদের জীবন এবং কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা, তাদের জন্মমৃত্যু দিবস শুধু পালন নয় লালন করার উদ্যোগী ছিলেন তিনি। শুধু আঞ্চলিক ক্ষেত্রে নয় বাইরেও যেখানে স্বদেশ চেতনা ও সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনা সেখানে তার উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ ছিল অনিবার্য।বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সঞ্চালক হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পালন করে গিয়েছেন। হালিশহর শরৎ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের পক্ষে পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে ক্রেগ পার্ক নামকরণের পরিবর্তে বিপিন বিহারী গাঙ্গুলী উদ্যান নামকরণে এবং রামপ্রসাদ লাইবেরির পেছনে আজু গোঁসাইঘাট নির্মাণে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।

আজ ১৩ মে হালিশহর বাজারপাড়া দুর্গামণ্ডপে তাঁকে স্মরণ এবং শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক মাল্যদান করেন।

সংগীত ও বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সূচনা করেন শংকর শিলাদিত্য। তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করেন সুশান্ত মুখোপাধ্যায়, সুশান্ত ভট্টাচার্য, মিতা পাল, ভবতোষ চক্রবর্তী, বিমল বল, ধীরাজ ভট্টাচার্য, তন্ময় ভট্টাচার্য, শংকর কর্মকার,অসীম দাস, তমাল সাহা প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন নির্ভীক কন্ঠ সম্পাদক স্বপন দাস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শুভ্রাংশু মিত্র এবং নিত্যানন্দ দাস।