অবতক খবর, উত্তর ২৪ পরগণাঃ শ্রমিকদের  স্থায়ীকরণ ও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী বেতন সহ প্রশাসনের শ্রমিক বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরব নবগঠিত তৃণমূল জুট শ্রএন্ড টেক্সটাইল  ওয়ার্কার্স ফেডারেশন। সংগঠনের নেতারা চার দফা দাবি নিয়ে মিল কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থিত হলে ডেপুটেশন নিতে অস্বীকার করে মিল কর্তৃপক্ষ। বিক্ষুব্ধ হয়ে শ্রমিক নেতারা আরও শতাধিক শ্রমিক দের নিয়ে অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন । ঘন্টাখানেক পর ডেপুটেশন স্বীকার করল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে তৃণমূল এই শমিক সংগঠনকে কিছুতেই গুরুত্ব দিতে চাইছে না হুকুমচান্ড প্রশাসন শ্রমিকনেতারা প্রশাসনকে ঘড়ি অফিসে গেলে তাদেরকে কোন গুরুত্ব না দিয়েই গেটের অফিসে গিয়ে তাদের অভিযোগ জমা দিতে বলা হয়। মিল কর্তৃপক্ষের এই ব্যবহারে ক্ষিপ্ত শ্রমিক নেতারা পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে মিল কর্তৃপক্ষকেই অফিসেই তাদের ডেপুটেশন অধিগ্রহণ করতে হবে। অফিসে উপস্থিত মিলের c.e.o. এসকে চন্দ্রা ও জেনারেল ম্যানেজার আরকে শ্রীবাস্তব ও চীফ পার্সোনেল অফিসার তৃণমূল নেতাদের কোনো গুরুত্ব দেননি অবশেষে শ্রমিক নেতারা আরও শতাধিক শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে দেন । অবস্থা বেগতিক দেখে  পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যান নারাদমুনি মিশ্র কিন্তু আটকে পড়েন বাকিরা। শ্রমিকরা ও জেনারেল ম্যানেজার সহ বাকি সমস্ত অফিসারদের ঘরে আটকে দেন। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভের পর অবশেষে তৃণমূল শ্রমিকদের দাবি পত্র স্বীকার করেন প্রধান ক্লার্ক চৌধুরী।

শ্রমিক নেতা ও সংযুক্ত সম্পাদক তাপস গুপ্ত জানান নিয়ম মেনে আঠ ঘন্টার বেশি শ্রমিকদের কাজ করানো যায়না । অতিরিক্ত এক ঘন্টা কাজ করালে তার দুই ঘন্টার পয়সা দিতে হয় এটাই নিয়ম, কিন্তু দীর্ঘ 2-3 বছর ধরে মিল কর্তৃপক্ষ বিজেপির গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রমিকদের প্রতিদিন ৯ ঘন্টা কাজ করিয়ে মাত্র আঠ ঘন্টারও পয়সা দিচ্ছে না।

শুধু তাই নয় প্রতিবাদ করলেই শ্রমিকদের কাজ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে তিন শ’র বেশি শ্রমিকদের প্রতিবাদ করার জন্য কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে । সেই সকল বসিয়ে দেওয়া শ্রমিকদের পুনরায় কাজে বহাল করার দাবি আমরা জানাচ্ছি।

শ্রমিক নেতা প্রদীপ পুরি জানান যে শ্রমিকদের প্রতি দিনমজুরি  ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী 370 থেকে 385 টাকা হওয়া উচিত কিন্তু মাত্র 165 থেকে 180 টাকা মজুরি পাচ্ছে। যেটা একেবারে জোর জুলুম ও বেআইনি। প্রদীপ পুরি জানান মিলের হর্তাকর্তা চন্দ্রা সাহেবকে এই দাবি আমরা দিলাম। দাবি পূরণ না হয় তাহলে আমরা তাকে ছেড়ে কথা বলব না। তিনি আরও বলেন সংসদের হাত ধরে ,তাকে খাম পাঠিয়ে দিয়ে মিল কর্তৃপক্ষ ভাবছে তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না , তাহলে তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন ।এখনও রাজ্যে তৃণমূলের সরকার আছে এখন শ্রমিকরা আর এই জোর জুলুম সহ্য করবে না তিনি বলেন আমি শ্রমিকদের হয়ে মিল কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানাচ্ছি যে পিঠ মজবুত করে রাখুন আগামী দিনে আপনাদের কোন রেহাই মিলবে না।