অবতক খবর,১৯ মার্চ:  ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী(দেব)-র বিরুদ্ধে অভিযোগ গরু পাচারের টাকা দিয়ে ছবি তৈরি করেছেন সম্পত্তি করেছেন। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে দেব বলেছেন একটা টাকাও ঘাটাল থেকে নেন নি। উল্টে নিজের পকেট থেকে গরিব মানুষকে টাকা দিয়েছেন।
আর এবার তা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের।

তার বক্তব্য দেবের বিরুদ্ধে তার দলের লোকেরাই এই ধরনের অভিযোগ করেছিল। দেবের দলকেই এর জবাব দেওয়া উচিত। দেবের অভিযোগের ভিত্তিতে ওখানকার দলের সভাপতিকে রাতারাতি দলের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। তিনিই প্রশ্নগুলো তুলেছিলেন যে দেব গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত এবং সেই গরু পাচারের অর্থ দেবের কাছে যেত। এছাড়াও এনামুলের পয়সা দেবের কোম্পানিতে খেটেছিলেন।’

মঙ্গলবার দুপুরে মজদুর ভবনের গনমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে বারাকপুরের বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিং এসব বলেন। তার অভিমত ‘সেখানকার তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিজেই বলেছিলন যে, দীপক অধিকারী ৩০ শতাংশ কমিশন ছাড়া কাজ করেন না। উনি ঘাটাল ঘাটাল বলছে, ঘাটালে এখন কত শতাংশ কমিশন পাওয়া যায় সেই নিয়ে দর কষাকষি চলেছে।’

এরপর সাংসদ সদস্য অর্জুন সিং বারাকপুরের তৃনমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকে নিয়ে বলতে গিয়ে অর্জুন বলেন, শিবু হাজরা সন্দেশখালি থেকে এসে নৈহাটিতে জমি কিনছে,জমির ব্যবসা করছে। আর সমস্ত দায়িত্ব জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু) ও পার্থ ভৌমিকের ছিল। বালু মল্লিক বাকিরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জেলে চলে গেলেন। আবার শিবু হাজরার যখন তদন্ত চলছে, কোথায় দেড়শ কিলোমিটার দূরে গিয়ে দল ছিল শেখ শাহাজান ভদ্র লোক ছিল কিছু একটা ছিল।

*ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের রোজগার/আয় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ব্যারাকপুরের বর্তমান সাংসদ অর্জুন সিং।* অর্জুনের প্রশ্ন তার কি এমন রোজগার আছে যে, নৈহাটি, সোদপুরে এতো বড় ফ্ল্যাট? হঠাৎ করে এমনকি রোজগার ছিল যে একসঙ্গে পাঁচটা পেট্রোল পাম্প নিজের নামে। একটা পেট্রোল পাম্প বিক্রি করার জন্য এখন প্রস্তুতি নিয়েছে। হয়তো বকলমে রয়েছেন তিনি। আবার দেড়শ কিলোমিটার দূরে সন্দেশখালি থেকে এসে এখানে শিবু হাজরার বাড়ি, জমি।’ অর্জুনের প্রশ্ন ‘শিবু হাজরা এখানে জমি কি কারনে কিনবে? আরো ৬০ বিঘা জমির প্রমাণপত্র এসেছে আমাদের কাছে।’
আস্তে আস্তে সমস্তটাই তদন্ত হবে। সব কিছু সামনে আসবে। নৈহাটির মানুষ সবকিছুই জানে। ভালো সাজলেই, ভালো হওয়া যায় না।’

অর্জুন বলেন ‘পার্থ ভৌমিকের সম্পত্তির প্রমাণ খুঁজবে এজেন্সি অথবা উনি নিজেই বলতে পারেন তার কতটা সম্পত্তি আছে।’

এরপর সোমনাথ শ্যামকে নিশানা করে অর্জুন বলেন, ‘হলুদ ফাইল বের করেছিল এবার আমি হলুদ,কালো সব বের করব। একটু ধৈর্য ধরুন।’