অবতক খবর,৯ মে: আজ রবীন্দ্রনাথের ১৬২তম জন্মদিবস। ১৬১তম জন্ম বার্ষিকী। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ নিশ্চিত বিশাল পরিমাপের মানুষ। কিন্তু তিনি আমাদের বাঙালির রবীন্দ্রনাথ। তিনি ঘরে ঘরে ঠাকুর হিসেবে পূজিত হয়ে আসছেন। তাঁর পদবী যে ঠাকুর,সেই ঠাকুর পদবীটি এক্ষেত্রে সার্থক হয়ে উঠেছে।

পার্থ সেনের বাড়িতে রবীন্দ্রপ্রেমী মানুষজনের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। যে সমস্ত গায়ক-গায়িকারা রবীন্দ্রসঙ্গীতে আচ্ছন্ন, তারা রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন। তারা সাংগীতিক দক্ষতায় কতটা নৈপুণ্য দেখাতে পেরেছেন সেটা আমি বলছি না। তাদের প্রত্যেকের পরিবেশন ছিল হৃদয় থেকে উৎসারিত। তাদের জীবনে আজকের একটি বিশেষ দিনে রবীন্দ্রনাথ প্রাণময় হয়ে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কিত একটি সুন্দর গল্প,একটি কাহিনী, যার সঙ্গে জড়িত সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যাল– রবীন্দ্রনাথের পুরাতন ভৃত্য কবিতাকে কেন্দ্র করে যে পারিবারিক ঘটনা, পিতা-পুত্রীর যে প্রশ্নোত্তর,সে নিয়ে তিনি একটি কাহিনী পরিবেশন করেন স্বপন চট্টোপাধ্যায়।

রবীন্দ্রনাথ ও কাঁচরাপাড়া। কাঁচরাপাড়ার জীবনে রবীন্দ্রনাথ গুরুত্বপূর্ণ কেন? কেন কাঁচরাপাড়ার রবীন্দ্র জয়ন্তী অর্থাৎ পঁচিশে বৈশাখ বা বাইশে শ্রাবণ পালন করার একটা দায় রয়েছে,সেটা সবিশেষ, উল্লেখ করেন কবি ও সাংবাদিক তমাল সাহা। এই অনুষ্ঠানে দেখা যায় যে, ক্রমাগত শ্রোতারা আসছেন। অর্থাৎ এই ঘরোয়া পরিবেশে রবীন্দ্র অনুষ্ঠানটি সার্বজনীন হয়ে উঠেছে।

সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন গৃহের কর্ণধার পার্থ সেন নিজে। এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী অমিত নিয়োগী ও অস্মিতা সেন সুন্দর সংগীত পরিবেশন করেছেন। মনোগ্রাহী বক্তব্য রেখেছেন কৌশিক মিত্র।