এই খরতর তাপপ্রবাহে কষ্ট হচ্ছে তবুও আমার একটু একটি সুবিধা হয়েছে। বই পাঠের ও কিছু যা তা লেখার সুযোগ পেয়েছি

গ্রীষ্ম লিখন
তমাল সাহা

১) আমি হনুমান

বামপন্থীদের এখন উপেক্ষা করছি ভীষণ
ঘরে বসে পড়ছি রামায়ণ।
রাম লক্ষ্মণ সীতা ছিল না কোনোদিন
ফালতু বামপন্থীদের রটনা।
তবে এত রামভক্ত হলো কি করে !
পৃথিবীর ইতিহাসে এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা।

আমি এখন ভক্ত বজরংবলী হনুমান
সূর্য আমার বশীভূত, রৌদ্রতেজ ভেঙে খানখান।
ব্যাটা সূর্যকে বগলদাবা করে আমার বিপ্লবী অভিযান!

২) উৎখাত

এই গরমে
বামপন্থী চেতনাও গেছে গলে সুনিশ্চয়।
নাহলে এই সরকার উৎখাত করতে এত দেরি হয়!
বামপন্থীদের আবার রৌদ্রদহন লাগে নাকি!
তারা তো সর্বক্ষণ লড়াইয়ের ময়দানে।
পতাকা ওড়ে, ওড়ে লাল পতাকা মানুষের জয়গানে।

৩) নির্বোধ আমি

আরে, আমি তো কিছুই বুঝিনা!
বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে
শীতকালে শীত পড়বে
আর
গরমকালে গরম পড়বে না?
নর্দমা দিয়ে তো নোংরা জলই যাবে,
তুমি কি মনে কর দই যাবে ?
বাবা তো এমনই শিখিয়ে গিয়েছিল
বাবা মরে গিয়েছে
এখন তাকে কী করে জিজ্ঞেস করি, এ তো জানিনা!

৪) কবি কবিনী

যে কবি কবিনীরা বৃষ্টি নিয়ে এতো কবিতা লেখে
বর্ষামঙ্গল! বর্ষামঙ্গল! বলে হাঁক পারে,
এখন তারা কী করে কে জানে?
বোধ করি নগ্ন হয়ে মগ্ন জলস্নানে।

৫) তোমার ঘামঝরা মুখ

বর্ষাকালে সবাই বৃষ্টি নামাতে পারে, গ্রীষ্মকালে কে?
তোমার ঘামঝরা মুখটি
একবার দেখাবে আমাকে!

৬)কবিতা বলে

কবিতা বলে
তুমি তো প্রেমের কবিতা ভালই লেখো
আরো লেখো
বৃষ্টি নামাও বুকে
সেই বৃষ্টি নয়, সেই বুকে নয়
মানুষের বুকে
যে বৃষ্টি নামালে মানুষ থাকে সুখে।

নামাও বৃষ্টি মুষলধারা
আমি তুমি ডাকো সবাইকে
পরিপূর্ণ সিক্ত হোক এই বসুন্ধরা।