অবতক খবর,৬ নভেম্বরঃ আদতে গোটা হুগলি জেলাই ডেঙ্গি হটস্পট,প্রকোপ বাড়ছে যে সব জায়গায় সেই এলাকার বাসিন্দাদের অতি সতর্ক থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্য দপ্তরের।

পাঁচ বছরে হুগলি জেলার ডেঙ্গি গ্রাফঃ

২০১৮ সালে ৭৮৫ জন

২০১৯ সালে ২৪৭৫ জন

২০২০ সালে ২০০ জন

২০২১ সালে ৩৩৯ জন

২০২২ সালে আজ পর্যন্ত ৫৭২৪ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত।

পাঁচ বছরে হুগলি জেলায় স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ডেঙ্গি আক্রান্তের গ্রাফ চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি।এর কারন হিসাবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর মনে করছে আগে ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ল্যাব ছিল একটি।এখন সেটা নয়।স্বাভাবিক ভাবে পরীক্ষা বেরেছে।গত দু বছর করোনার জন্য ডেঙ্গি পরীক্ষায় জোর দেওয়া হয়নি।সরকারি প্রচার এবং ডেঙ্গি নিয়ে ভয় মানুষকে সচেতন করেছে।জ্বর হলে রক্ত পরীক্ষা করাচ্ছে তাই ডেঙ্গি রোগির সংখ্যা এতটা বেড়েছে।

তবে এই বৃদ্ধিতে চিন্তা বেড়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের।হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক রমা ভুঁইয়া বলেন,আদতে হুগলি জেলা গোটাটাই হটস্পট। ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে থাকা এমন এলাকাকে হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।অতিসতর্ক থাকতে হবে উত্তরপাড়ার ১৫,১৯,শ্রীরামপুরের ১৪ ১৬,১৭,১৯,২৫,রিষড়ার,,১১,১৪,১৬,বৈদ্যবাটির ৫,১১,ডানকুনিতে ১২,ভদ্রেশ্বর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড।গ্রামীন এলাকার, চন্ডীতলার মশাট,মগড়ার দেবানন্দপুর,পোলবার রাজহাট ও সুগন্ধা,বলাগড়ের শ্রীপুর ও জিরাট,শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুর ও রিষড়া,খানাকুল-২ এর চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকার বাসিন্দাদের।

জেলার পাঁচটি বড় হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ২৪ ঘন্টার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।জ্বর নিয়ে যারা হাসপাতালে আসছেন তাদের

ডেঙ্গির হলে বিশেষ কিছু চিকিৎসা নেই।জ্বর হলে তিন দিনের মধ্যে পরীক্ষা করাতে হবে।বিশ্রামে থাকা বেশি করে জল খাওয়া,লিকুইড খাবার খেতে হবে বলে জানান সিএমওএইচ।

ডেঙ্গি বৃদ্ধি ঠেকাতে মানুষের সচেতনতার অভাব আছে।বাড়িতে বা বাড়ির আসে পাশে ছোটো জায়গায় দিন কয়েক জল জমে থাকলেই সেখানে মশা ডিম পারে।লার্ভা থেকে মশা বংশ বৃদ্ধি করে।সেটা আটকাতে হবে।জল কোনো ভাবেই জমিয়ে রাখা যাবে না।

সিএমওএইচ বলেন শহরাঞ্চলের সঙ্গে গ্রামেও বাড়ছে ডেঙ্গি।