অবতক খবর,২৩ ডিসেম্বর: গৃহবধূর ওপর অমানবিক অত্যাচার। দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে মুখে গামছা বেঁধে গৃহবধূকে মারধর শ্বশুর-শাশুড়ির। গতকাল সারারাত ধরে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সকালবেলা সুযোগ বুঝে এলাকায় পালিয়ে আসে ওই গৃহবধূ। খবর পেয়ে ছুটে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা গণধোলাই দেওয়া হয় অভিযুক্ত শ্বশুরকে। পুলিশ এসে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় অভিযুক্ত শ্বশুর-শাশুড়িকে। ঘটনা গাজোল থানার রাঙাভিটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয়েছে গৃহবধূর পরিবারকে

জানা যায় আক্রান্ত ওই গৃহবধূর নাম সপ্তমী সরকার ভৌমিক। তিনি মালদার নালাগোলার এর বাসিন্দা। বিগত সাত বছর আগে গাজোল থানার অন্তর্গত রাঙাভিটা এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত ভৌমিক এর সাথে বিয়ে হয়। রয়েছে একটি দেড় বছরের কন্যা এবং চার বছরের একটি পুত্রসন্তান।

বিয়ের পর থেকেই ওই গৃহবধূর স্বামী সুশান্ত ভৌমিক ভিন রাজ্যের একটি কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগ একা পেয়ে ওই গৃহবধূর ওপর অত্যাচার চালাত তার শশুর শাশুড়ি। গতকাল রাতে সারারাত মারধর করে তার শশুর শাশুড়ি। সকালে সুযোগ বুঝে গ্রামে পালিয়ে যায় ওই গৃহবধূ। সকলকে ঘটনার বিবরণ জানালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় স্থানীয় বাসিন্দা সহ মহিলা সমিতি। এরপর ক্ষিপ্ত এলাকাবাসীরা গণধোলাই অভিযুক্ত শশুরকে। ঘটনার খবর দেওয়া হয় গাজোল থানার পুলিশকে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে এসে ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত শ্বশুরকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত শাশুড়িকেও। ওই গৃহবধূকে ও চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রের খবর অভিযুক্ত শ্বশুরের নাম কানাই ভৌমিক (৬২), অভিযুক্ত শাশুড়ি আভা ভৌমিক (৫৬)।

নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ জানান তার স্বামী বাইরে কর্মরত। তার স্বামীর সাথে কোন কথা বলতে দেন না তার শশুর শাশুড়ি। বাড়িতেও খেতে দেওয়া হয় না ঠিকমতো। দিনের পর দিন অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রাতে হাত-মুখ বেঁধে প্রচণ্ড মারধর করেছে। বাইরে বেরোতে দেয়নি। ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঘরেই পড়েছিলাম। আজ পালিয়ে এসে স্থানীয়দের জানাই। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করব।