গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, অভিযোগের তীর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দিকে। ছেলের বাড়ি ভাঙচুর

অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী, হাওড়া :     স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো এক তরুণী গৃহবধূর। হাওড়ার ডোমজুড় এলাকার বাগ পাড়ায় ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি। শ্বশুরবাড়ির থেকে উদ্ধার গৃহবধূর মৃতদেহ। এলাকায় চাঞ্চল্য।

মৃতার পরিবার সূত্রে খবর ৫ বছর আগে বিয়ে হয় ডোমজুড় রাজাপুর দক্ষিণবাড়ির বাসিন্দা অমৃতা দাসের সাথে ডোমজুড় বাগপাড়ার বাসিন্দা রণজিৎ দাসের। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে অত্যাচার ও বঞ্চনার শিকার হন মৃতা অমৃতা। মৃতার পরিবারের তরফের অভিযোগ করা হয় শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই খুন করেছে অমৃতাকে।

এই প্রসঙ্গে মৃতার মা মিঠু বাগ জানান তার মেয়ের ৫ বছর আগে বিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের পর থেকেই তার শ্বশুরবাড়ির থেকে মেয়েকে মারধর ও অত্যাচার করা শুরু হয়। মেয়েকে তার কাছে আসতে দিতো না। এলেও ১০ মিনিটের বেশি থাকতে দিতো না। ফোন করে ডেকে নিতো। পাশাপাশি তিনি আরো অভিযোগ করেন মাঝেমধ্যেই তার মেয়েকে বাপের বাড়ি থেকে গয়না টাকা নিয়ে আসার জন্য অত্যাচার করা হতো। তিনি দাবি করেন ৬ মাস আগেই তিনি ২০ হাজার টাকা ও ৪ সেট করে গয়না গড়িয়ে দিয়েছিলেন মেয়েকে যাতে মেয়ে অত্যাচারিত না হয়। আজকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সেখানে দেখেন এসিড জাতীয় কিছু দিয়ে মেয়ের শরীর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মুখে টেপ মেরে মৃত অবস্থায় খাটের নীচে ফেলে রেখেছিল।

স্থানীয় প্রতিবেশী মহানন্দ দাস জানান মৃতা অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি বাড়ির বাইরে একদমই বেরোতেন না। গতকাল বিয়ে বাড়ি যাওয়া নিয়ে ওদের বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়। রাতে তার কাছে পাড়ার ছেলেরা ফোন করে জানায় দুর্ঘটনার কথা। এরপরেই তারা এলাকায় ফিরে আসেন।

আজকে এই ঘটনায় মেয়ের বাড়ির লোকেরা উত্তপ্ত হয়ে ছেলের বাড়ি ভাঙচুর চালায় তাতে ছেলের পাড়া প্রতিবেশীরা ও হাত লাগায়। ঠিক কি কারণে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে গেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃতার স্বামী রণজিৎ দাসকে হাওড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মৃতার শ্বাশুড়ি কে আটক করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সোচ্চার এলাকার বাসিন্দারা।