অবতক খবর,১৭ জুলাই: ২৩শে মে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর রাজ্যে বয়ে চলেছিল গেরুয়া প্রবাহ। একের পর এক ক্লাব, সংগঠন বিজেপির দখলে চলে গিয়েছিল। এমনকি তৃণমূল নেতারাও রং পরিবর্তন করেছিলেন। আর এই গেরুয়া প্রবাহের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছিল বীজপুরে। একের পর এক তৃণমূলের ক্লাব বিজেপির দখলে যেতে থাকে।

অন্যদিকে সেইসময় প্রচুর তৃণমূল নেতা কর্মীরা স্বেচ্ছায় কিংবা চাপে পড়ে নাম লেখান গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু তার মধ্যেও ব্যতিক্রম হয়েছিল। তৃণমূল দলের কিছু পুরনো কর্মী দলের প্রতি বিশ্বাস রেখে কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে দলে ছিলেন। আর তার মধ্যে একজন হলেন হালিশহরের তৃণমূল নেতা রাজু বিশ্বাস। তিনি দলের একজন পুরনো কর্মী। তাঁকে দেখে অসংখ্য ছাত্র যুবরা এই দল করছেন।

বলতে গেলে ২০১৯-এ হালিশহরে একমাত্র রাজু বিশ্বাসই দলের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন।‌ আর তাঁর সাথে,তাঁর পাশে সেইসময় ছিলেন মাধব চক্রবর্তী, প্রদীপ পুরী, শুভঙ্কর ঘোষ ( সোনাই ) , লোটন চক্রবর্তী, জীবনকৃষ্ণ আচার্য, কল্যাণী বিশ্বাস বসু, কৃষ্ণ চক্রবর্তী, কানুলাল সরকার সহ আরো কয়েকজন।
গেরুয়া প্রবাহ চলাকালীন গতবছর ১৪ই জুন প্রথমবারের মতো কাঁচরাপাড়ার মাটিতে পা রেখেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সময় হালিশহরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই রাজু বিশ্বাস।‌ কিন্তু তখন যেমন তাদের মধ্যে দলের জন্য কিছু করার উৎসাহ দেখা গিয়েছিল, আজকের তারিখে দাঁড়িয়ে সেই উৎসাহ যেন কোথাও হারিয়ে গিয়েছে।

কারণ একটাই, এখন আর দলের পুরোনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই হালিশহর ৩ নং ওয়ার্ড স্থিত আচার্য্যপাড়া নবোদয় সংঘ ক্লাব যা রাজু বিশ্বাসের ক্লাব নামে অঞ্চলে পরিচিত, সেই ক্লাব দখল করার চেষ্টা করেছে বিজেপি। কিন্তু রাজু বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা তাদের বিরুদ্ধে একা লড়ে গেছেন। আর এখনও পর্যন্ত এই ক্লাবের রং একই রয়েছে। অর্থাৎ গেরুয়া রঙে রাঙায়িত হয়নি। বলা যায় এটা হতে দেননি রাজু বিশ্বাস।

কিন্তু তারা এখন বলছেন যে,দলের পুরনো কর্মীদের সেভাবে মর্যাদা বা গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। যারফলে ভেঙে পড়ছে তাদের মনোবল। দল‌ যদি তাদের প্রাপ্য মর্যাদা না দেন বা তাদের উৎসাহ না দেন তবে তাদের দেখে যারা দল করছেন অর্থাৎ ছাত্র-যুবরা কি সেইভাবে দলের জন্য কাজ করবে? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন রাজু বিশ্বাস।
শুধু রাজু বিশ্বাসই নন,বীজপুরের এমন অনেক পুরনো তৃণমূল নেতাকর্মী রয়েছেন যাদের দলের প্রতি একটা চাপা ক্ষোভ জন্মেছে।