অবতক খবর , , অভিষেক দাস , মালদা :- বিধানসভা নির্বাচনের আগে মালদার গাজলে যোগী আদীত্যনাথের সভাকে নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক বাদানুবাদ। আরোপ এসেছে বিজেপি কর্মীদের সভায় যেতে বাধাপ্রাপ্ত করছে তৃণমূল। ভয় দেখিয়ে,গাড়ি আটকে ফিরে যেতে বাধ্য করছে তাদের। সামনে আসছে বিধানসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেছে। প্রত্যেক শিবিরই তাদের প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ মালদায় প্রচারে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদীত্যনাথ। যোগী আদীত্যনাথের এই নির্বাচনী সভাকে ঘিরে মালদা জেলা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উৎসাহ তুঙ্গে। আজ যোগী আদীত্যনাথের সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মালদা জেলা হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতান নগর এলাকার বেশ কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থক। সেই সময় তাদের বাধা দেওয়া হয়।

বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের দিকে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের দাবি মালদা জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানের অনুগামীরা তাদের সভায় যেতে বাধা দেয়। এরপরই তারা গাড়ি থেকে নেমে শুরু করেন বিক্ষোভ। যদিও তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব এই কথা অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনাকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। সুলতান নগরের বাসিন্দা বিজেপি সমর্থক বাবলু মন্ডল বলেন, “আমরা গাজোলে বিজেপির মিটিং এ যাচ্ছিলাম। রাস্তার মাঝে তৃণমূলের লোকজন দাদাগিরি করে যেতে দিল না। আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরা সব বুলবুল খানের লোক।”

 

অভিযোগের দায় ঝেড়ে ফেলে মালদা জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। বিজেপি আগাগোড়াই ধাপ্পাবাজির রাজনীতি করে। এখানে বিজেপি বলে কিছু নেই। মানুষের ভোট নিয়ে আমরা জিতি। ২০২১-এ যতই ফোর্স পাঠাক, যাই করুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” সরাসরি নাম না নিয়ে বুলবুল খানকে কটাক্ষ করে বিজেপির জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর রাম বলেন, “সুলতান নগরের বহু সংখ্যালঘু ভাইয়েদের আজ এখানে গাজলের সভায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে ভয় দেখিয়ে ওখানকার তৃণমূল নেতারা এখানে আসতে দেয়নি।

একইরকম খবর পাচ্ছি মালতীপুর বিধানসভা থেকেও। এইভাবে ভয় দেখিয়ে, চমকিয়ে বাংলার মানুষকে আটকানো যাবেনা। বিশেষ করে সংখ্যালঘু মানুষদের আসতে দিচ্ছে না আমাদের সভায়।” মালদার গাজলের যোগীর সভা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির আরোপ বিজেপি সমর্থকদের সভায় আসতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। আর এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মদত। যদিও দায় অস্বীকার তৃণমূলের।