অবতক খবর,৩০ ডিসেম্বর: গঙ্গাসাগর মেলার আগেই গঙ্গাসাগরে যাওয়ার জন্য ভেসেল ঘাটে লক্ষাধিক তীর্থযাত্রীদের ভিড়,দীর্ঘ লাইনে যাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতি বচাশা,সামলাতে হিমসিম প্রশাসন।

হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি গঙ্গাসাগর মেলার,তার আগে কাকদ্বীপ লট নম্বর এইটে তীর্থযাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় প্রায় ৩ কিলোমিটার লম্বা লাইন । আর এই লম্বা লাইনে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় দাঁড়ানোর ফলেই যাত্রীদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয় ঘটনাস্থলে কাকদ্বীপ হারুউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সে কর্মীরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা। ভেসেল কম চলা এবং জল না থাকার অভিযোগ তীর্থযাত্রীদের।

উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত বুধবার নবান্নে বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছেন মেলা চলবে ৮ই জানুয়ারি থেকে ১৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত। মেলায় যাতায়াতের জন্য পূর্ব রেল শিয়ালদা থেকে ৬৬ টি অতিরিক্ত ট্রেন চালাবে। প্রতিদিন ১৬ থেকে ১৭ টি অতিরিক্ত ট্রেন চলবে ক্যানিং নামখানা কাকদ্বীপ শাখায়। যাতায়াতের জন্য ২২৫০ টি অতিরিক্ত বাস রাখা হবে। মেলায় প্রাঙ্গণে থাকবে ১১৫০ টি ক্লোজ সার্কিট টিভি। তিরিশটি অ্যালার্ম বাটন, ৫০ টি ফায়ার ব্রিগেড গাড়ি, 32 টা ভেসেল গাড়ি পারাপারের জন্য থাকবে। ১০০টি লঞ্চ থাকবে যাতায়াতের জন্য ৭টি অস্থায়ী হাসপাতাল ৩০০ বেডর থাকবে। ১০ হাজার টয়লেট থাকবে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য। মহিলাদের জন্য ৭০০ ওয়াশরুম থাকবে। পানীয় জলের জন্য ছোট ছোট সাত লক্ষ পাউচ রাখা হবে মেলা প্রাঙ্গণে। ২৮ জায়গায় ফার্স্ট এইড সার্ভিস রাখা হবে। ১২ জায়গায় মেডিকেল টিম থাকবে ও ১০০ অ্যাম্বুলেন্স থাকবে পরিষেবার জন্য। রাখা হচ্ছে ৩ টি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স। থাকবে ১টি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সও।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ভিআইপিরা পাইলট কার নিয়ে মেলা প্রাঙ্গনে ঢুকতে পারবে না। বাংলা সহ ৮ ভাষায় তীর্থযাত্রীদের জন্য মাইকিং করা হবে। সমস্ত গাড়িতে ১জন করে সাগর বন্ধু ভলেন্টিয়ার থাকবে যারা তীর্থযাত্রীদের সহায়তা করবে। তীর্থযাত্রী ও সংবাদমাধ্যমের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বীমা। জি পি আর এস সিস্টেম চালু থাকবে। মেলা প্রাঙ্গনে নিরাপত্তার জন্য ২০টি ড্রোনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি করা হবে। ইসরোর সাহায্যে এই প্রথম স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু হবে।এই প্রথমবার মেলা প্রামানে কিউআর কোড চালু হচ্ছে। এই কিউ আর কোড স্ক্যান করে দেখে নেয়া যাবে মেলায় কোথায় কি রয়েছে।