গঙ্গাভাঙন থেকে বাঙ্গীটোলার বিস্তীর্ণ এলাকাকে রক্ষা করতে শাকুল্লাপুর বাঁধ বাঁধানোর পরিকল্পনা নিল রাজ্য সেচদপ্তর

অবতক খবর,১০ এপ্রিল,অভিষেক দাস,মালদা:- গঙ্গাভাঙন থেকে বাঙ্গীটোলার বিস্তীর্ণ এলাকাকে রক্ষা করতে শাকুল্লাপুর বাঁধ বাঁধানোর পরিকল্পনা নিল রাজ্য সেচদপ্তর। এজন্য প্রায় দু’কোটি টাকা খরচে প্রকল্পের কাজ শুরু হল। সোমবার এই কাজের সূচনা করলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। ওই এলাকায় গঙ্গানদীর বামতীর বরাবর প্রায় ৬০০ মিটার এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ করা হবে। এরফলে বাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা কমবে। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার মানুষজন ভাঙ্গন রোধের কাজের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ওই এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ হলে বেশ কয়েকহাজার মানুষ উপকৃত হবেন।

মালদহের কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বাঙ্গীটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শাকুল্লাপুর গ্রাম। এলাকার বাসিন্দা বেশ কয়েক হাজার। এছাড়াও বর্তমানে বাঁধ রোড দিয়ে প্রতিদিন চলাফেরা করেন আরও বেশকয়েক হাজার মানুষ। প্রতিবছর বর্ষা এলেই এখানকার বাসিন্দাদের ঘুম উবে যায়। নদী এই বুঝি এলো দোরগোড়ায়, এমনই আতঙ্কে ভোগেন এলাকার মানুষ। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে সেচ দপ্তর এলাকায় বাঁধ ও রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি বাসিন্দারা।

জানা গিয়েছে, ৬০০ মিটার কাজের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা। এবছর বর্ষার আগেই কাজ শুরু করে প্রথমে নিচের অংশ, অর্থাৎ বর্ষার সময় বাঁধের যে অংশ নদীর জলে ডুবে থাকে, প্রথমে সেই অংশের কাজ করা হবে। এরপর পরবর্তী বছরে বাঁধের উপরের অংশে প্রতিরোধের কাজ হবে।

মন্ত্রী এদিন জানান, রাজ্য সরকারের সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে ভাঙন রোধের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। এরপরেও গত আর্থিক বছর পর্যন্ত শুধু মালদহে প্রায় দেড়শো কোটি টাকার ভাঙ্গন রোধের কাজ করেছে রাজ্য সরকার। আগামীতে আরও প্রায় একশো ২০ কোটি টাকার কাজের প্রস্তাব তৈরি করে উপযুক্ত জায়গায় পাঠানো হয়েছে।