অবতক খবর,সংবাদদাতা,২৩ জুলাই :: নদীয়ার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর পঞ্চায়েতের ভোলাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রাখা বাতিল কলের পাইপ চুরি করে বিক্রি করা নিয়ে থানার দ্বারস্থ হলেন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আজিম বিশ্বাস। আজিম বাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, তার সাত নম্বর সংসদ এলাকায় বিভিন্ন সময়ে খারাপ হয়ে যাওয়া কলের পাইপ বিগত পাঁচ বছর ধরে রেখে আসছেন ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রতে।

গতকাল তিনি এক বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে, গ্রাম সগুনায় লোহা লক্করের গোলায় গিয়ে উদ্ধার করেন ৭১ কেজি লোহার পাইপ। সেখান থেকেই তিনি জানতে পারেন অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষিকা গায়ত্রী ঘোষ, ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে নগদ অর্থ নিয়ে এসেছেন। এই বিষয়ে গায়ত্রী দেবীকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান তাকে বিক্রি করতে বলেছেন, তবে এক্ষেত্রে ৬২ কেজির কথা স্বীকার করেন তিনি। আজিমবাবুর দাবি, সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করার অধিকার থাকে একমাত্র বিডিওর তাও নির্দিষ্ট সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে তার রাখা ওই পাইপ বিক্রির ব্যাপারে একবারও জানানো হয়নি তাকে।

শিক্ষিকা গায়ত্রী ঘোষ জানান, তিনি অস্থায়ী ছাউনি নির্মাণের পঞ্চায়েত প্রধান কিছু এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও আজ শতাধিক বিক্ষোভকারীর মধ্যে কেউই স্বীকার করেনি, অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধান সুকিলা বিবির স্বামী আনারুল ইসলাম মন্ডল জানান, গ্রামের মানুষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলাম। শিক্ষিকা কার সাথে কথা বলেছে তিনিই বলতে পারবেন ।

আজ সকালে শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতেই, অবিভাবকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। শিক্ষিকাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ চলে প্রায় তিন ঘন্টা, পঞ্চায়েত সদস্য ও এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নেন বিষয়টি লিখিতভাবে শান্তিপুর থানায়, গয়েশপুর পঞ্চায়েত অফিস এবং বিডিওতে জানানোর।

তবে এলাকার প্রায় সকলের অভিমত , তাদের এবং পঞ্চায়েত সদস্যকে না জানিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত অত্যান্ত নিন্দনীয়, যেহেতু সরকারি সম্পত্তি বিক্রির বিষয় তাই শাস্তিযোগ্য অপরাধও। ওই শিক্ষিকার আইনত শাস্তি চান তারা।