অবতক খবর,৪ অক্টোবর,নদীয়া:- একসময় ছিল টেরাকোটার কাজ, পাথর খোদাই করে মূর্তি বানানো, পরবর্তীতে সিমেন্ট প্লাস্টার অফ প্যারিস, চিনামাটি নানা ধরনের উপাদানে তৈরি মূর্তি স্বভাবত বিভিন্ন মন্দির প্রাঙ্গণে, পার্ক গির্জা এমন কি বসতবাড়ীতেও। মাটির তৈরি প্রতিমা পূজিত হত সর্বোত্র তবে পাথরের দেবদেবী আজও দেখা যায় বিভিন্ন পুরনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে । ক্লাব বারোয়ারি বা বাড়ির পুজো অর্চনায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে মাটির তৈরি প্রতিমা। কিন্তু প্রতিবছর ব্যয়বহুল প্রতিমা ক্রয় এবং বহন করে নিয়ে যাওয়ার অসুবিধা জনিত কারণে বর্তমানে বাজারে এসেছে গ্লাস ফাইবার। একটু দাম বেশি পড়লেও এই উপাদানে তৈরি মূর্তি এবং ধর্মীয় বা সামাজিক পরিবেশে সাজানোর নানান বিষয় গুলি তৈরি হচ্ছে। বছরের-পর-বছর উজ্জলতা একি থাকা এবং সহজেই ভঙ্গুর নয় এমন হওয়ার কারণে ক্রমশ ঝোক বাড়ছে মানুষের। নদীয়ার শান্তিপুর থানার মোড় নিবাসী বিখ্যাত শিল্পী কানাই পাল এর সুযোগ্য সন্তান প্রসেনজিৎ জানান, অতীতে বাবা দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াতেন পাথর বা মাটির কিংবা প্লাস্টার অফ প্যারিস উপাদানে বিভিন্ন মূর্তি তৈরীর ডাকে। তাতে একদিকে যেমন তাদের খরচ বাড়তো তেমনি সকলের ইচ্ছা পূরণ সম্ভব হতো না সময়াভাবে। উনি এতটাই বিচক্ষণ ছিলেন যে, আজ আমরা যে অত্যাধুনিক উপাদানে কাজ করছি আজ থেকে 50 বছর আগে তিনি সে ধরনের কাজের অভিজ্ঞ ছিলেন, অবশ্যই বিদেশে যাওয়ার সুবাদে। দীর্ঘ লকডাউনে মৃৎশিল্পীদের অবস্থা ছিলঝ করুন! তবে বিকল্প কাজের প্রতি যাদের ঝোঁক ছিল তারা খুব বেশি সমস্যায় পড়েননি, ঘরে বসেই বিভিন্ন মডেল, মুনি ঋষির মূর্তি তৈরি করে রেখেছিলেন যা ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসা বর্তমান পরিস্থিতিতে বিক্রি করে কিছু উপার্জন করতে পারছেন। বর্তমানে শান্তিপুর হরিপুর অঞ্চলে এই রকমই এক সুবিশাল মন্দিরে 11 জন কর্মচারী নিয়োগ কাজ করছেন দীর্ঘ তিন মাস যাবত।
কালনায় একটি বহু পুরাতন দুর্গা মন্দির সংস্কারের পর সুসজ্জিত করে তোলার জন্য ডাক পড়েছে তার। সখা সখি দেবদেবীর মূর্তি, উদ্যানের পশুপাখি সিংহদরজার সিংহ মন্দিরের মোটা থাম , আরো কত কি! আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই ধরনের নানা চিত্র। শুনবো এপ্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বাবুর কাছ থেকে নানান অভিজ্ঞতার কথা।