অবতক খবর,২৬ আগস্টঃ পূর্ব জন্মে পার্বতী যখন সতী রূপে দক্ষ যজ্ঞ স্থলে আত্মাহুতি দেন, তার কারণে এই জন্মে ওঁর গাত্র বর্ণ কালো মেঘের মতো। তাই ভোলানাথ তাঁকে কালিকা ডাকতেন। একদিন দানবদের পীড়িত ক্লান্ত দেবতারা যখন কৈলাশে আশ্রয় নিলেন, শিব সব দেবতাদের সামনেই পার্বতীকে বললেন, “কালিকা তুমি ওদের উদ্ধার করো।” সবার সামনে ‘কালী’ বলে ডাকায় পার্বতী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, অপমানিত ও ক্রোধিত মনে মানস সরোবরের ধারে কঠিন তপস্যা করলেন।

তপস্যান্তে শীতল মানস সরোবরের জলে স্নান করে নিজের দেহের সব কালো পরিত্যাগ করলেন ও পূর্ণিমার চাঁদের মতো গাত্র বর্ণ ধারণ করলেন। ওই কালো কোশিকাগুলি থেকে এক অপূর্ব সুন্দর কৃষ্ণবর্ণ দেবীর সৃষ্টি হয়। ইনি দেবী কৌশিকী। আজ সেই তিথি, যে দিন এই দেবীর উৎপত্তি হয় এবং তিনি শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। তাই এই অমাবস্যার নাম কৌশিকী অমাবস্যা। আবার আজকের এই দিনে দশ মহাবিদ্যার দ্বিতীয়া স্তরের অন্যতম দেবী তারা মর্ত ধামে আবির্ভূত হন। বীরভুম জেলায় অবস্থিত তারাপীঠে এই উপলক্ষে বিশাল উত্‍সব হয়৷

অন‍্য সব অমাবস্যার থেকে একেবারেই আলাদা আজকের এই কৌশিকী অমাবস‍্যা। গতকাল রাত থেকেই তারাপীঠে প্রায় কয়েক লক্ষ্য ভক্তদের সমাগম হয়েছে। তারাপীঠে হোটেলগুলো চড়া দর হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছে। ৪০০ থেকে ১০০০ টাকার রুম গতকাল থেকেই প্রায় পঁচিশ হাজারে গিয়ে পৌঁছে গেছে। গতকাল থেকেই মন্দির আলোর মেলায় সেজে উঠেছে। আজ সকাল থেকেই তারা মায়ের গর্ভগৃহে মা তারার বিশেষ পূজো চলছে। দেশ বিদেশ এর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আজকের এই কৌশিকী অমাবস‍্যার তিথির জন্যে অপেক্ষা করে থাকেন।