অবতক খবর, সংবাদদাতা :: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তার প্রভাব আগেই পড়েছে লোকাল ট্রেনের চলাচলেও। এবার হাওড়া স্টেশনের যাত্রী সংখ্যাতেও পড়েছে তার প্রভাব। হাওড়া স্টেশনের সিনিয়র মুখ্য প্রবন্ধক জানান তাদের মোট টিকিট বিক্রি প্রায় ২৫ – ৩০ শতাংশ কমে গেছে। কোভিড-১ এর পরে নতুন করে ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার পরে আসতে আসতে যখন যাত্রী সংখ্যা বাড়ছিল। ঠিক তখনই কোভিদের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সেই সংখ্যা নিচের দিকে নামছে। তিনি আরও জানান কিছুদিন আগে অব্দি প্রায় সাড়ে নয় লাখের কাছে টিকিট বিক্রির অঙ্ক পৌঁছালেও এবারে আবার কমছে হাওড়া স্টেশনে যাত্রীর সংখ্যা। যদিও তিনি দাবি করেন কোভিডের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এর পাশাপাশি ইতিমধ্যে পূর্ব রেলের হাওড়া স্টেশনে করোনায় আক্রান্ত ৩৪ জনের বেশি গার্ড। ফলে গার্ডের অভাবে বাতিল করা হচ্ছে হাওড়া স্টেশনের মেন লাইন এবং কর্ড লাইনের একাধিক লোকাল ট্রেন। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে হাওড়া ও শিয়ালদা শাখা মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন রেলকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এর জেরে হাওড়া শিয়ালদা শাখায় বাতিল করা হয়েছে অসংখ্য ট্রেন।

হাওড়া শাখায় ১৬টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আজিমগঞ্জ-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার, রামপুরহাট-বর্ধমান প্যাসেঞ্জার, রামপুরহাট-আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার, আজিমগঞ্জ-নলহাটি প্যাসেঞ্জার, নলহাটি-আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার, আজিমগঞ্জ-কাটোয়া প্যাসেঞ্জার, কাটোয়া-আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার, বর্ধমান-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার, বর্ধমান-কাটোয়া প্যাসেঞ্জার, কাটোয়া-বর্ধমান প্যাসেঞ্জার, ব্যান্ডেল-বর্ধমান প্যাসেঞ্জার, বর্ধমান-ব্যান্ডেল প্যাসেঞ্জার। এছাড়াও বাতিল করা হয়েছে ১৯ জোড়া লোকাল ট্রেন। ট্রেনের নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে লোকাল ট্রেনের হকার সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করছেন যাত্রী সংখ্যা সত্যি কমেছে।

প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই রেলের তরফে জানানো হচ্ছে প্রতিটি স্টেশনে বিশেষ মাইকিং করা হচ্ছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্য তথা দেশে থাবা বসানোর পরই সাধারণ নিত্য যাত্রীদের সচেতন করার জন্য ব্যাবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিনা মাস্কে কাউকে স্টেশন চত্বরে ও ট্রেনে সফর করতে দেখা গেলে তাকে ৫০০ টাকা জরিমানার কথাও ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।