অবতক খবর,১৯ জুন,সনৎ বর্মন,কোচবিহারঃ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাজ দিচ্ছে না দায়িত্বে থাকা সংঘের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। সংঘের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাদের ঘনিষ্ঠদের কাজ পাইয়ে দিচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ নিয়ে সরব হল কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিভিন্ন দলের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা।

জানা যায়,মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত মোট ৪৮০ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দল রয়েছে, কিন্তু তাদের মধ্যে ৩৫০ টি দলকে কোন কাজ না দিয়ে দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের ঘনিষ্ঠ দলগুলিকে কাজ পাইয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ কাজ না পাওয়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলের মহিলাদের।

তারা আরো জানান, প্রায় এক বছর আগে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে আলোচনায় বসে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সুরাহা না মেলায়। পরবর্তীকালে ঘোকসাডাঙ্গা থানায় ও মাথাভাঙ্গা জুডিশিয়াল কোটে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তারা। এ বিষয়ে মা মনসা মহিলা স্বনির্ভর দলের দলনেত্রী উর্মিলা বর্মন জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কোন মামলা চলাকালীন কোন জল কোনো ভাবেই কাজ করতে পারে না।

কিন্তু এখানে দায়িত্বে থাকা মূল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দলের সদস্যরা তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিজনদের বেআইনিভাবে কাজ পাইয়ে দিচ্ছে।

সুশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কি করে এই কাজ চলছে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। অপরদিকে এ বিষয়ে বড় শৌলমারী গ্রামীণ বিকাশ মহিলা সমিতি অর্থাৎ দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদক হীরামতি বর্মন কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে বড় শৌলমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহাদেব বিশ্বাস জানান বিষয়টি পুরোপুরি বিডিও অফিসের অধীন তাই তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।

অপরদিকে এই বিষয়ে মাথাভাঙ্গা ২ নং ব্লকের বিডিও উজ্জ্বল সরদার জানান এ বিষয়টি ঠিক প্রত্যেক দল কাজ পাচ্ছে না। তবে এতগুলো দল কে একসাথে কাজ দেওয়া সম্ভব নয়, তাই প্রতিবছর দলগুলিকে ভাগ করে স্কুলের পোশাক বানানোর কাজ দেওয়া হবে বলে জানান।