আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: আবতক খবর  :: ১৬ই,ডিসেম্বর :: কোলকাতা :: সিএবি  তাঁরা মানবেন না বলে জানিয়েছিলেন তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। সাথে আবার যোগ হয়েছে কেরলও।

সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এই বিষয়ে কংগ্রেস, তৃণমূলের সঙ্গে অবস্থান করছেন। তবে কেন্দ্রকে অমান্য করে তাঁদের পক্ষে কী সম্ভব এই আই বাস্তবায়িত না করা?

সংসদে সরকারের ক্ষমতাবলে পাশ হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা পরিণত হয়েছে আইনে। সংসদে বিলটিকে আটকাতে না পারলেও, এবার ঘুরপথে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আটকাতে চাইছে বিরোধীরা।

বিরোধীদের সেই ছক বুঝেই হয়তো আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই বিলটি যে রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত নয়, তা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অবিজেপি রাজ্যগুলিকে।

সংবিধানের ২৫৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী যদি কেন্দ্র এই বিলটি লাগু করার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাহলে রাজ্যগুলির কাছে কোনও উপায় থাকবে না। তাঁদের এই আইন বলবৎ করতেই হবে। এটা সংবিধানের পরিকাঠামোগত পরিবর্তন। আর কোনও রাজ্য সরকার সংবিধানের বিরুদ্ধে যেতে পারবে না। তাঁদের সংবিধানের ভিতরে থেকেই কাজ করতে হবে।

নাগরিকত্ব আইনের বাস্তবায়ন করতে সব রাজ্য সরকারই বাধ্য। সংবিধানের সপ্তম তফসিলের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, সপ্তম তফসিলে তিনটি তালিকা আছে। একটি কেন্দ্রের তালিকা, একটি রাজ্যের তালিকা এবং একটি যৌথ তালিকা। নাগরিকত্ব, বিদেশনীতি, প্রতিরক্ষা, রেলের মতো বিষয়গুলি কেন্দ্রীয় তালিকার অন্তর্গত।

তাই, নাগরিকত্ব ইস্যুতে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু কেন্দ্রের। রাজ্যের নেই। কেন্দ্র চাইলে, রাজ্যও তা মানতে বাধ্য। যদি কোনও রাজ্য আইন না মানতে চায়, সেক্ষেত্রে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। ২৫৬ নম্বর ধারা রাজ্যগুলির উপর চাপানো অত সহজ নয়। সেই ক্ষেত্রে রাজ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যেতে পারে।