অবতক খবর,৬ আগস্ট,নববারাকপুর : বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে নিউ বারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে স্টেশন সংলগ্ন আমতলা মোড়ে রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত চলে ধরনা মঞ্চে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুখেন মজুমদার, উপপুরপ্রধান স্বপ্না বিশ্বাস সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি সহ ছাত্র যুব মহিলা সহ শ্রমিক সংগঠনের কর্মীরা ও। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিত পথে এবং সর্বভারতীয় দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ওসারা বাংলা জুড়ে চলছে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। নববারাকপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ও সেই সভা চলছে। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে দলের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে। ২০২১ এর অক্টোবর থেকে এখনো ও অবধি কেন্দ্র সরকার রাজ্যের প্রাপ্য ৬ হাজার ৯০২ কোটি টাকা দিচ্ছে না। ২০২১ এর যারা কাজ করেছেন সেই টাকা দিচ্ছে না। যে সমস্ত কৃষকরা গ্রামাঞ্চলে প্রকল্পের কাজ করেছেন পনেরো দিনের মধ্যে ব্যঙ্কে রাখতে হয়। বঞ্চনার প্রতিবাদে এই অবস্থান ধরনা। রাজ্য সরকার সংসদীয় বিধি মেনে ধার নেয়। নির্দিষ্ট দিনে ধার শোধ করে দেওয়া হয়। ৫.৮৬ হাজার কোটি টাকা ধারের মধ্যে ২ লক্ষ কোটি সুদ দিচ্ছে রাজ্য। প্রতি বছর বাড়ছে সুদের পরিমাণ। বিরোধীরা বলছে ধার নিচ্ছে কেন। ধার নিচ্ছে আবার ধার শোধও করছে। নিয়ম লঙ্ঘন করি না। সার্টিফিকেট দিয়েছেন কেন্দ্রের দপ্তর।কেন গুজরাট সরকার ধার নেয় না। কেন্দ্রের সরকার ১৫২ কোটি টাকা নিয়েছে। আঙুল তোলার আগে নিজের দিকে আঙুল তুলুন বলে কেন্দ্র কে হুশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর।আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই আন্দোলনের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। ইয়াস আম্ফানের টাকা পর্যন্ত দেয় নি।প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে ।প্রকল্পের নাম পালটে ফেলা হচ্ছে ইন্দিরা আবাস যোজনা হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। তাও বুঝি কিছু হচ্ছে না।বাংলা আবাস যোজনা বললে তখন বাংলা নামের সাথে নফরত কেন।বাংলার দিকে চোখ রাখবে আবার বাংলার প্রতি সখ্যতার ঘৃন্য ব্যবহার কেন। বাংলার মানুষ সহ্য করবে না বলেন মন্ত্রী। যত টাকা বাকি তা এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেয় নি কেন্দ্রের সরকার। এর বিরুদ্ধে লড়াই।এর প্রতিবাদ পথে নেমেছে মা মাটি মানুষের সরকার। মন্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে জোর গলায় বলেন কোন ও প্রকল্পের একশ শতাংশ টাকা কেন্দ্রের সরকার দেয় না।কোথায় ৪৫ শতাংশ আবার কোথাও পঞ্চাশ শতাংশ আবার কোথাও পচাত্তর। রাজ্যে নিজের প্রকল্পের অর্থে নিজেররা উন্নয়নের কাজ করে।কেন্দ্রের ফান্ড নেয় না বলে দাবি। তথ্য তুলে ধরে বলেন ২০১০-১১ সালে বাজেটে ছিল ৮৪ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ সালে চার গুন বেড়ে হয়েছে তিন লক্ষ ৩৯ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। বাংলার উন্নতি সাধনে বরাদ্দ ৭.২ গুন বেড়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর। বাংলা আগে পথ দেখাবে। বাংলা গর্জে উঠেছে। মনিপুর আবার ও জ্বলছে। জানি না কেন।মনিপুরের ডবল ইঞ্জিন সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করছে না কেন্দ্রের সরকার। কোনও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে দাবি। ইন্ডিয়া জোট নিয়ে অনেক কিছু বলছেন। বলে লাভ হবে না বলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ।নিউ ইন্ডিয়া আগে ছিল না। মনিপুরের মতো রাজ্যে মেয়েরা বিবস্র হয়। মেয়েদের অপমানিত করা হচ্ছে। কেন্দ্রের সরকারের কোন নিদ্রা ভঙ্গ হচ্ছে না কেন। এর বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলন। সংসদীয় গণতন্ত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে। অন্য রাজ্যে ও থাকতে পারে। অধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করছে না কেন্দ্র দাবি মন্ত্রীর।