অবতক খবর,১৪ এপ্রিলঃ কেটে ফেলা হচ্ছিল একের পর এক গাছ,অভিযোগ পেয়ে পুলিশ নিয়ে হাজির হলেন তৃণমূল বিধায়ক। পোলবা সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশে প্রকাশ্য দিবালোকে অবাধে চলছিল বড় বড় আম গাছ কেটে ফেলা। স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পোলবা থানার পুলিশকে নিয়ে আজ ওই এলাকায় যান চুঁচুড়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।

সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন ভ্যানেতে কাটা গাছ মজুদ করা হয়েছে। কার নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে? মালিক কে? গাছ কাটার কোনও অনুমতি আছে কিনা তা দেখতে চান বিধায়ক। যদিও কোনও কাগজই যে ব্যক্তিরা গাছ কেটেছেন, তাঁরা দেখাতে পারেননি। এর পরেই পুলিশকে বিধায়ক বলেন, “গ্রেফতার করুন ওদের”। বিধায়কের নির্দেশ পেয়ে পুলিশ পাঁচ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। যদি এই ঘটনার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিধায়ক গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করছেন। তাহলে পুলিশ বা স্থানীয় পঞ্চায়েতের নাকের ডগায় কিভাবে চলছিল রমরমিয়ে এই গাছ কাটা? কেনই বা তারা কোনও খবর পেলেন না?বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “পোর্ট ক্লাবে একটি রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলাম। একজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ফোন করে জানান সুগন্ধা পঞ্চায়েতের পাশে বিরাট বড় আমবাগান রয়েছে সেখানে অবাধে গাছ কাটা চলছে। খবর পাওয়া মাত্রই আমি থানায় ফোন করি ও তৃণমূল কর্মীদেরও ফোন করি।সেখানে গিয়ে দেখতে পাই অবাধে গাছ কাটা চলছে। যিনি খবর দিয়েছেন তাকে ধন্যবাদ জানাই। বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে একজন মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছেন। গাছ কেটে যারা অসাধু ব্যক্তি তারা অন্য কাজে ব্যবহার করত। গাছ কাটা, পুকুর ভরাট করা এগুলি সমাজের পক্ষে অমঙ্গল।অমঙ্গল কাজ আমাদের সরকার করতে দেবে না, আমিও করতে দেব না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি প্রতিরোধ করব স্থানীয় বাসিন্দাদের বলব আপনারাও রুখে দাঁড়ান”। যদিও বিধায়কের গাছ কাটা আটকানোকে কটাক্ষ করে হুগলি সাংগঠনিক জেলা BJP-র সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “সুগন্ধায় বেআইনিভাবে গাছ কাটা, মাটি কাটা, বেআইনিভাবে পুকুর ভরাট এগুলো নতুন কিছু নয়।

বহু বছর ধরে চলে আসছে। এর বিরুদ্ধে BJP বহুবার প্রশাসনের কাছে গিয়েছে কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। কারণ এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে মদত রয়েছে তৃণমূলেরই বহু নেতা নেত্রীদের। বিধায়ক এই কারণেই রাস্তায় বেরিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করছেন। কারণ ওখানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে মানুষ তৃণমূল থেকে নিজেদের মুখ ফিরিয়ে নিয়ে BJP-র দিকে আসতে শুরু করেছেন।

মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। কারণ সেখানকার মানুষ জানেন ভোট চলে গেলেই আবার গাছ কাটা হবে, পুকুর ভরাট করা হবে মাটি কাটা হবে। তাই আগামি দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যোগ্য জবাব তৃণমূল ও বিধায়ক পেয়ে যাবেন”।