অবতক খবর,১৩ আগস্টঃ নদীয়ার কৃষ্ণনগর পৌর পরিষেবার পানীয় জল খেয়েই মৃত্যু এক গৃহবধুর। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। আশঙ্কা জনক অবস্থায় শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি আরও পাঁচ জন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই কৃষ্ণনগরের নাগরিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠছিলো পানীয় জলে পাট পচার গন্ধ। যা পান করা তো দূরে থাক অন্যান্য কাজকর্ম করতেও তারা ভয় পাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন। অনেকে আবার বিপদের ভয়ও পেয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে 5 জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে কৃষ্ণনগর শক্তি নগর হাসপাতালে ভর্তি হন। যার মধ্যে 16 নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবধূ সুধারানী দাস আজ মারা যান। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় 5 জন চিকিৎসাধীন।

16 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিত ঘোষ জানান একাধিকবার পৌরসভা কে জানিয়েও কোনো ফল মেলেনি। একজনের মৃত্যু ও অপর পাঁচজনের গুরুতর অসুস্থতার দায় কাউন্সিলর হিসাবে আমার উপর বর্তায় কিন্তু, উদাসীন পৌরসভা কোন দিনই তা কর্ণপাত করেনি বলে জানান।

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং

নাগরিকদের তোলা অভিযোগ কে গুরুত্ব না দিয়ে উদাসীন কৃষ্ণকানগর পৌর কর্তৃপক্ষর গাফিলতিতেই এই মৃত্যু বলে সাফ জানালেন পৌরসভার বিরোধী দলের নেতৃত্বরা। তাদের মতে সকলের সাথে আলোচনা না করেই তারা পৌরসভা পরিচালনা করে থাকেন, যার ফলে নাগরিকদের এই দুর্ভোগ। বৈষম্যমূলক আচরণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা। অবিলম্বে পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়া উচিত বলে তারা দাবি করেন। তারা এটাও দাবি করেন গাফিলতীর দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত চেয়ারম্যানের।

বিজেপির পক্ষ থেকে অবিলম্বে মৃতর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি ৫ জনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে রাজ্য সরকারের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত তারা দাবি জানান। অবিলম্বে ঘোষণা না হলে পুরকর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন সংঘটিত হবে বলেও হুশিয়ারি দেন।

সিপিআইএমের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে আবারো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করবে শাসক দল পরিচালিত পুর কর্তৃপক্ষ। সাধারণ মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাদেরই ন্যূনতম জলপরিসেবা পৌঁছে দিতে এই পৌরসভা।নাগরিকদের স্বার্থে তাদের নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে উঠবে বলে জানান তারা।

তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন পুরসভার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন যে ওয়ার্ডের ঘটনা সেখানে আমাদের গঙ্গার জলপরিসেবা চালু নেই। বিরোধীরা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। কি কারনে মৃত্যু হয়েছে তা বলতে পারবে ডাক্তার। তবে আপাতত জল পরিষেবা পৌরসভা বন্ধ রাখবেন যতক্ষণ পর্যন্ত না পাট পাচার গন্ধ কমে।