অবতক খবর :: নদীয়া ::    ১৯৬২ সালে চাকদহর মৃত্যুঞ্জয় সিংহর মহানুভবতায় চাকদাহ কল্যাণী রানাঘাট এক নম্বর ব্লকের কৃষক এবং গামছা উৎপাদক তন্তুজীবি দের সরাসরি বিক্রির ব্যবস্থা ছিলো এই হাট। ধীরে ধীরে সেখানে আড়ৎদারদের প্রাধান্য বাড়ে। চাষিরা ক্রমাগত সরতে সরতে যাতায়াতের রাস্তায় ঠাঁই নেয়। প্রতিদিন রাত ১২ টা থেকে সকাল 8 টা পর্যন্ত চলে এই হাট শুধুমাত্র শুক্রবার বসে বস্ত্র হাট। স্বভাবতই সকালে রাস্তার উপরে যানজটে প্রায়ই সমস্যা দেখা দেয় সাধারণ মানুষের।

অন্যদিকে মালিকপক্ষকে বিষয়টি জানালে তারা একটি অস্থায়ী ছাউনি করে দেয় বসার জন্য। হাট মালিকের পক্ষ থেকে রাখি সাহা সিংহ প্রশাসনিক বিভিন্ন বিভাগে লিখিত অভিযোগ জানান “মালিকের অধিকার খর্ব করে এই ধরনের আড়ৎদাররা মদত পাচ্ছে চাকদা পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান দীপক চক্রবর্তী এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর দিবাকর চক্রবর্তী জন্য। এমনকি তারা আমাদের নিজস্ব জায়গায় একটি মিটিং আমাদের অনুমতি না নিয়েই এমনকি প্রান্তিক চাষীদের এবং বস্ত্র বিক্রেতাদের কাছ থেকে মোটা টাকা নেওয়া হচ্ছে আমাদের অনুমতি ব্যতীত।”


প্রায় ২২০০ কৃষক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা মালিক পক্ষর থেকে পাওয়ার জন্য আড়তে সবজি বিক্রি করতে দেওয়ার থেকে নিজেরা বসে বিক্রিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বেশি।

এবিষয়ে প্রাক্তন পুরপ্রধান দীপক চক্রবর্তী জানান মিথ্যা অভিযোগ হয়েছে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার আগে তোলাবাজি হতো, এখন তা বন্ধ হয়েছে।
সিংহের হাট ও বাজার বিক্রেতা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সরোজ মন্ডল জানান চাষীদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই! কৃষক এবং আরো দুটোরই প্রয়োজন আছে। কল্যাণী মহকুমা শাসক জানান উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসার চেষ্টা চলছে।