অবতক খবর,২২ আগস্টঃ আজ দেখা গেল কবিগুরু রবীন্দ্রপথ স্থিত আগুরিপাড়া অঞ্চলে মেইন উপর লরিকে লরি বালি পড়ে আছে। ফলত যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এই বালি কার? তার এতোখানি সাহস কি করে হলো যে, পরিবহন ব্যবস্থা বিঘ্নিত করে সে বালি ঢেলে জড়ো করেছে মেইন রাস্তার উপরে?

অনুসন্ধানে জানা গেছে শিবু নামে এক ব্যক্তি যার বাড়ি নির্মাণের জন্য এই বালি ফেলা হয়েছে। আরো অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে এই বালি গঙ্গার সাদা বালি।গঙ্গা থেকে সাদা বালি ওঠানো সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। অথচ গাড়িকে গাড়ি সাদা বালি দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে আমরা দেখছি পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে থানা প্রশাসন এবং পৌর প্রশাসন সমস্ত কিছু জেনেও কেন উদাসীন কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। ‌এ বিষয়ে বারবার সংবাদ করা সত্ত্বেও বোঝা যাচ্ছে কোথাও শক্ত পোক্ত গঠবন্ধন আছে। প্রশাসনিক স্তরে প্রোমোটার বা এই ঠিকাদারির যদি যোগাযোগ না থাকে তবে এই ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে ঘটতে পারে না। ‌এদিকে ওই অঞ্চলের তৃণমূল যুবনেতা সুজিত দাস জানান,এটা বেআইনি বালি। এটা কারা ফেলেছে, কোন এক বালি মাফিয়া দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে চলেছে, তাদেরই কেউ সাহস করে এখানে বালি ফেলেছে।

কিন্তু সে কিভাবে এই সাহস পেয়েছে এটা তিনি একজন প্রাক্তন কাউন্সিলর এবং তৃণমূল যুবনেতা হয়েও বলতে পারছেন না। অদ্ভুত রহস্য।‌ এদিকে সুজিত দাস এও জানাচ্ছেন যে, জনসাধারণের তো অসুবিধা হচ্ছেই। যেভাবে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে তাতে যারা মর্নিং ওয়াকে যান তাদের অত্যন্ত সমস্যা হচ্ছে।এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে এই বালির চোরা কারবার চলছে,মাফিয়ারা বালি পাচার করছে অসৎ উদ্দেশ্যে।

 

এদিকে রাজ্য সরকার বলছে, কোনো বেআইনি কাজ করা যাবে না, বালির খাদান করা যাবে না,বালি পাচার করা যাবে না, এফআইআর করুন। কে এফআইআর করবে?কার সাহস আছে? এসব কথা বলার তাহলে কি মানে আছে? অন্যদিকে সিপিএম নেতারা জানাচ্ছেন যে, তারাও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন কিন্তু এখানে শাসক শ্রেণীর যে ধরনের দৌরাত্ম্য চলছে, তারা সেইভাবে মাঠে ময়দানে নেমে যে ধারাবাহিক প্রতিবাদ করবেন সে ব্যাপারেও তারা আতঙ্কগ্রস্ত।

আরো এটা ভাবার বিষয় কারণ এটা পুজোর প্রাককালীন পরিস্থিতি। বিভিন্ন জায়গায় প্যান্ডেল হচ্ছে, মানুষ যাতায়াত করছে। পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, মানুষের বিভিন্ন রকম অসুবিধা তো হচ্ছেই, কিন্তু থানাপ্রশাসন তো বটেই এবং এখানে নাগরিক প্রশাসনের মূল ভূমিকায় রয়েছেন অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিরা। তারাও এ ব্যাপারে কেন উদাসীন সে ব্যাপারে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।