১২ সেপ্টেম্বর ছিল পথের পাঁচালী স্রষ্টা ভূমিপুত্র বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন

কাল বিভূতিভূষণ এর সঙ্গে দেখা

তমাল সাহা

 

চল দুর্গাপুজো করি!! জয় মা দুর্গা!

কাল পথের পাঁচালীর বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল কাঞ্চনপল্লীর রাস্তায়।

আমায় দেখে ডাকলেন। ঘাড়ে হাত রেখে বললেন, শোন্ পথের পাঁচালীতে দুর্গাকে দেখেছিস তো। সত্যজিতের সঙ্গে সংগ্রহ কথা হলো। সেও গালে হাত দিয়ে মুষড়ে পড়ল।

আমি বলি, এমন কি হলো?

আরে আমি মরে গেছি বলে তুই কি ভাবছিস দেখতে পাই না, শুনতে পাইনা! ওই তো সেদিন শুনলাম ইনট্যানজিবল শব্দটি, ইউনেস্কো শব্দটি, কার্নিভাল শব্দটিও শুনতে পেয়েছি। রেড রোডে প্রায় ৩ কোটি টাকার মিছিল দেখলাম। বিদ্বজ্জন নাকি যেন তাদেরও মিছিলে দেখলাম। আমাদের সময় কিন্তু বিদ্বজ্জন, বুদ্ধিজীবী এই শব্দ দুটির তেমন প্রচলন ছিল না।

মণ্ডপে মণ্ডপে এখন নাকি ষাট হাজার টাকার দুর্গা আসবে। ২৫৮ কোটি টাকা নাকি জনকোষ থেকে গায়েব হয়ে যাবে!

আমার দুর্গা তো আর অত দামি দুর্গা নয়। একটাই শাড়ি পরে গায়ে জড়িয়ে উপর পর্যন্ত বেড় দিয়ে রাখে। এখনো কত গরিব দুর্গা পাওয়া যায় গাঁয়ে গঞ্জে!

সত্যজিৎ-এর সঙ্গে কথা বলে পথের পাঁচালী থেকে দুর্গা নামটি উঠিয়ে নিলাম।

এই প্রথম সত্যজিৎ-এর চোখে জল দেখলাম।