কালীপুজোর দৌরাত্ম্যঃ কাঁচরাপাড়ায় চাঁদা আদায়ের ঘটনা ঘটে চলেছে,হুমকি

অবতক খবর,২৬ অক্টোবর: কালীপুজো,মহা কালীপুজো। করালবদনী চামুণ্ডা কালী, শ্মশান কালী। বীজপুর অঞ্চল দুটি কালীপুজোর জন্য নিশ্চিত বিখ্যাত। জনমানষষসের দৃষ্টি সেদিকে কতটুকু আছে সেটা আমরা জানিনা। সেই কালী বাড়ি হচ্ছে ডাকাত কালীবাড়ি। কাঁচরাপাড়ার বাবু ব্লকে অবস্থিত। অনেকে বলেন রঘু ডাকাতের কালীবাড়ি। আর সেই মহান কালীবাড়ি হচ্ছে রামপ্রসাদের ভিটেতে। যিনি পঞ্চবটী এবং পঞ্চমুন্ডির আসনে বসে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন,সেই রামপ্রসাদ সেন। যিনি কালীকে বিসর্জন দিতে গিয়ে নিজেও বিসর্জিত হয়েছিলেন হালিশহর গঙ্গাবক্ষে। সেই ঘাট আজ রামপ্রসাদ ঘাট নামে পরিচিত। কাঁচরাপাড়া, হালিশহর কালীপুজোকে সামনে রেখে এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বাহী অঞ্চল। উদয়ন সংঘ, ভারত সংঘ, অশোক সংঘ,রাণা প্রতাপ সংঘের কথা কি মানুষের স্মৃতিতে আছে? মনে আছে তারাপদ দাস, বীরেন আইচ, অরুণ দে, মতিয়ার কথা!

রামপ্রসাদ গেয়েছিলেন, মানবজীবন রইল পতিত আবাদ করলে ফলতো সোনা। সেই বীজপুর অঞ্চলে কালীপুজোর নামে দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে।

কাঁচরাপাড়া স্টেশন সংলগ্ন যে নবজীবন ক্লাব,যে ক্লাব কালীপুজোর জন্য বিখ্যাত ছিল, যে পুজো সিপিআইএম রাজনৈতিক দলের দ্বারা অর্থাৎ সিপিএম মনস্ক রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা পরিচালিত হতো,সেই সংগঠনটি নবজীবন পেয়েছে। এই নবজীবন কথাটির মধ্যে অদ্ভুত এক তাৎপর্য রয়েছে। এই নবজীবন ভ্রাতৃ সংঘের সদস্যরা এখন তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত। এখানে এখন ওস্তাদ, অঞ্চলে পরিচিত শিবু, এই শহর তাকে নাটা শিবু বলে চেনে।

আজ একটি ঘটনা ঘটেছে– কাঁচরাপাড়া কবিগুরু রবীন্দ্র পথে অবস্থিত স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে সে একটি এল টাইপের বিজ্ঞাপনের জন্য কিছু অর্থ কামিয়েছে এবং একটি মিষ্টির দোকানের সামনে সেই তোরণ দ্বার নির্মাণ করেছে। ঐ মিষ্টির দোকানের মালিক তাকে আবেদন করেন যে একটু দূরে সরিয়ে বসাতে, তার দোকান বাধা প্রাপ্ত হচ্ছে। সে তো এখন সম্প্রতি তৃণমূল হয়েছে। রাজ্যটা তো তৃণমূলের অধীন। ‌সে বলে যে, তোমার দোকান টোকান ছাড়ো। আমি তো ফুটপাতে লাগিয়েছি। সুতরাং এটি ঠিক আছে। ‌সে এতো উত্তেজিত হয় যে,তাতে দোকানের মালিক মনে করে যে দোকান ভাঙচুর হবে। তখন মালিক সাহসে ভর করে বলেন যে, ভাঙলে ভাঙ আমার দোকান।

অর্থাৎ কাঁচরাপাড়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকে আবার সেই লুম্পেনীয় দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। কালীপুজোর নামে চাঁদা আদায়।ওই অঞ্চলের অর্থাৎ কাঁচরাপাড়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে বোঝা যায় যে তারা এ বিষয়ে অত্যন্ত সন্ত্রস্ত এবং আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দলের নামে মানুষ এখন ভয়ে শঙ্কিত। ফলত সাধারণ মানুষের নিশ্চুপ থাকাই স্বাভাবিক। সাধারণ মানুষের জীবন কোনদিকে যাচ্ছে এটা সহজেই অনুমেয়।