কালীঘাটের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে সব পুলিশ লাগিয়ে দেওয়া হয় অথচ রাজ্যে নিরাপত্তা পাওয়া যায় না, বললেন দিলীপ ঘোষ

অবতক খবর,৪ জুলাইঃ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ সোমবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাঁচিল টপকে এক ব্যক্তি প্রবেশের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,কালীঘাটের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে সব পুলিশ লাগিয়ে দেওয়া হয় অথচ রাজ্যে নিরাপত্তা পাওয়া যায় না। আমাদের অনুষ্ঠানে পুলিশ পাওয়া যায় না কিন্তু আমি জানিনা কি করে ঢুকলো, একটা লোক ঢুকে গেছে তার জন্য এতো হৈ হৈ পড়ে গেছে। মনে হচ্ছে আরডিএক্স ঢুকিয়ে দিয়েছে। কিছুদিনের আগে আমাদের বিরোধী দলনেতা গাড়িতে ট্রাক ধাক্কা মারলো, সেটা নিয়ে কারুর মাথাব্যথা দেখলাম না। লোক ঢুকেছে ধরে নিয়ে এসেছে পাগল হতে পারে সেই নিয়ে এমন খবর হয়েছে যেন কালীঘাটটাকে তুলে নিয়ে চলে গেছে নিশ্চয়ই কোন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আছে তাই জন্য এতো ভয়।

নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয় প্রকল্প দেখতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল এসেছেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,আমরা জানি এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে আমরা অভিযোগ করেছি যে কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পের নাম পাল্টে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্র সরকার দেখে টাকা পয়সা দেয় তাই জন্য চাপ দিয়েছে সব জায়গায় স্টিকার লাগানো হয়েছে শুধু টাকা নেওয়ার জন্য। এই যে সবকিছু চুরি করা অভ্যাস হয়ে গেছে সব জায়গায় দু নম্বরই করা হচ্ছে চাপা দিয়ে দিয়ে তারপর কিছুদিন পরে স্টিকার তুলে দেবেন। এর আগেও এসেছে আমরা দেখেছি টিভিতে পুরনো নামের ওপরে স্টিকার লাগাচ্ছে জেলা পরিষদের তরফ থেকে সে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। কাজের কোন স্থায়িত্ব নেই জায়গায় জায়গায় সেতু ভেঙে পড়ছে। নতুন তৈরি হওয়া সেতু অনেক কিছু এতো দু নম্বরী চলছে কন্ট্রাক্টারদের পয়সা দেওয়া হচ্ছে না তারা যাই হোক করে করে দিচ্ছে সিমেন্টের জায়গা বালি দিয়ে আমি জানিনা তৈরি হচ্ছে রাস্তাঘাট, বাড়ী,সেতু এগুলো কতদিন চলবে।

কলকাতায় সাত থেকে আট দিনের মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,এই ধরনের যখন ইলেকট্রিক সক্ষে মারা যায় তখন বিরোধীরা বা সংবাদ মাধ্যম হই হই করে তারপরে তদন্ত করা হচ্ছে বা দেখা হচ্ছে বলে চেপে দেওয়া হয়। গত বছর তার আগের বছর এই বৃষ্টি হলে এটা শুরু হয় পোস্টে বা খোলা তারে কেউ না কেউ বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মারা যান এবারে যা ঘটনা ঘটেছে খুব দুঃখজনক ঘটনা সরকার তাই সারা বিবৃতি দিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ করছে এই ধরনের ঘটনা যখন হচ্ছে আপনাদের কর্মচারীরা কি করেন হাজার লোক যাচ্ছে বলেও কোন কানে জল ঢোকে না যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় হই হই হয় তার কিছুদিন পর চাপা পড়ে যায় সরকারের কোন ব্যাপারে মাথা ঘামানোর মত মানসিকতা চলে গেছে কর্মচারীরাও আজ আর কাজ করতে চান না তাদেরকে রাজনৈতিক কাজ করিয়ে করিয়ে কোথাও দুয়ারে সরকার লক্ষীর ভান্ডার করতে গিয়ে তাদের নিয়মিত যা কাজ তারা আর করতে পারছেন না। পৌরসভার অপদার্থতা আছে মেয়র সবার আগে এসে বিবৃতি দেবেন আমরা কমিটি গঠন করে দিচ্ছি দেখে নিচ্ছি দুঃখজনক ঘটনা বলে দায়িত্ব শেষ করে দেন। সামান্য মানবিকতা বোধ সেটাও লুপ্ত হয়ে গেছে সরকারের। সাসপেন ড আর তদন্ত এটা মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য এত খুন হচ্ছে বড় বড় দুর্নীতি হয়েছে কি হয়েছে? একটা তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে তার কোন রিপোর্ট আসে না বড় বড় ঘটনা রিপোর্ট আসে না এগুলোর কি রিপোর্ট আসবে বলে তিনি কটাক্ষ করেন। সাধারণ মানুষকে বোকা বানাবার জন্য হয়, এর থেকে বেশি কিছু হয় না।

রাজ্যে পরপর শুট আউটের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,সেদিন খড়্গপুরে হয়েছে সেটা এখন এখানকার ফ্যাশন হয়ে গেছে একসময় বিহার উত্তর প্রদেশ ১০-১৫ বছর আগে যেমন ছিল ঠিক পশ্চিম বাংলার সেই অবস্থা হয়েছে এক সরকার যখন করা হয়েছে ওখানকার দুষ্কৃতি কারীরা পালিয়ে এসেছে পশ্চিমবাংলায় এসে তারা আশ্রয় নিয়েছে এছাড়া পশ্চিমবাংলার আইন শৃঙ্খলা এত নিচে নেমে গেছে আর অপরাধীদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জন্য তৃণমূল তারা এত দুঃসাহসী হয়ে গেছে আইন কানুন মানে না কোন ভয় ভীতি নেই তাদের মধ্যে সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ উল্টে ধমকে দেয় রিপোর্ট লেখে না হলে সেই খবর চলে যায় দুষ্কৃতকারীদের কাছে এই লোকটি তার নামে অভিযোগ জানাতে এসেছে। তখন তার আরো বিপদ পাড়ে এই পরিস্থিতির মধ্যে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসটা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

হায়দ্রাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন,রূপরেখা ঠিক করার জন্য নয় অনেক বছর পরে জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক হলো করোনার জন্য হয়নি নতুন করে পার্টি জিতেছে নতুন রাজ্যে আমরা সরকার গড়েছি স্থানীয় নির্বাচনে পার্টি অনেক জায়গায় সাফল্য পেয়েছে। কার্যকর্তাদের মনোবল উৎসাহ বারবার বাড়াবার জন্য একত্রে বড় এই ধরনের অনুষ্ঠান হল আর সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ভারতবর্ষের যেখানে যেখানে পরিবার বাদের রাজনীতি চলছে সেটা আগামী প্রজন্ম মানবে না বিহার ,উত্তর প্রদেশ থেকেপাঞ্জাব রাজ্য থেকে উঠে গেছে বাংলা তেলেঙ্গানা এরকম যে যে প্রদেশে আছে সেগুলো ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। যে ধরনের দুর্নীতি গণতন্ত্র হত্যা হচ্ছে বাংলা কেরল তেলেঙ্গানা তে যে অত্যাচার চলছে বিরোধীদের উপরে, এটাও চিন্তাজনক এবং বাংলা ও তেলেঙ্গানা কর্মীরা যে লড়াই করছে না এত বিপদের বিরুদ্ধে পার্টির দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে লড়াই করছেন প্রাণ দিচ্ছেন তার জন্য প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এরকম কর্মীরা আমাদের কাছে গর্বের, এই জন্যই পার্টি এগোচ্ছে।